৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত তিনি। ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর তাঁর দণ্ড স্থগিত করে মুক্তি দেয় সরকার। এরপর গুলশানের ভাড়া বাসায় ওঠেন তিনি।
গত বছর এপ্রিলে করোনা সংক্রমণ হলে এভারকেয়ার হাসপাতাল ভর্তি হয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সে দফায় ৫৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায় ফিরেছিলেন তিনি।
এরপর কয়েক মাস না যেতেই গত নভেম্বরে খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে বিএনপি নেতারা জানিয়েছিলেন। এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে ভর্তি হয়েছিলেন খালেদা জিয়া। তাঁর চিকিৎসায় ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। এ ছাড়া রাজধানীর অন্তত দুটি বেসরকারি হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা তাঁর চিকিৎসায় যুক্ত হন।
পরীক্ষা–নিরীক্ষায় খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়েছিল বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন। চিকিৎসায় শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় গত ৯ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) থেকে কেবিনে নেওয়া হয়।
বিএনপি নেতারা এর মধ্যে বেশ কয়েকবার খালেদা জিয়ার জীবনশঙ্কা প্রকাশ করে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন। এই দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করে বিএনপি।
প্রথম আলো