ঢাকাসোমবার , ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২
  • অন্যান্য

অপরাধবোধ থেকে বিএনপি নির্বাচনে যেতে সাহস পায় না: পরশ

ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২ ৬:৩৬ অপরাহ্ণ । ৩০৪ জন

গ্রীনসিটি ডেস্ক:

বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা করছে, কারণ তাদের নিজস্ব অপরাধবোধ থেকে তারা নির্বাচনে যেতে সাহস পাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।

সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পল্টনে এম মনসুর আলী জাতীয় হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে যুবলীগের উদ্যোগে অসহায় ও দুস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। যুবলীগ ইতালি ও জাপান শাখার সহযোগিতায় এ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।

নতুন নির্বাচন কমিশনকে স্বাগত জানিয়ে পরশ বলেন, তারা (বিএনপি) সাহস পাবেই বা কীভাবে, তারাতো অপরাধী ও দোষী। তাদের প্রধান নেত্রী খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। ভারপ্রাপ্ত নেতা তারেক জিয়া ১০ ট্রাক অস্ত্রপাচার মামলায় এবং একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় আইভি রহমানসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করা ও দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি।

যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, অগ্নি সন্ত্রাস করে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার দল বিএনপি। তারেক ও খালেদা জিয়ার নির্দেশেই যে অগ্নি সন্ত্রাস চালানো হয়েছিল তা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের মাধ্যমে প্রমাণ পাওয়া যায়। ২০১৪ সালের সেই ন্যাক্কারজনক ঘটনাকালে অগ্নিদগ্ধ ও আপনজন হারা স্বজনদের ব্যথা এখনো মানুষের মনে দাউ দাউ করে জ্বলছে। বিএনপি জানে তাদের জন্য মানুষের শুধু ঘৃণাই রয়েছে, মানুষ তাদের বিশ্বাস করে না। তাই তারা নির্বাচনে যেতে ভয় পায়। কারণ তারা জানে যে এ অপরাধী বিএনপিকে মানুষ কোনোদিনও ভোট দেবে না। সেই অপরাধবোধ থেকে মানুষের সামনে ভোট চাইতে যেতে ভয় পায়।

তিনি বলেন, জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা মানি-লন্ডারিং করে বিদেশে পাচার করেছে তারেক জিয়া ও বিএনপি নেতারা। আচ্ছা, চিন্তা করেনতো তারেক জিয়াতো প্রায় ১৩ বছর বিদেশে, কী তার পেশা বা আয়ের উৎস? কীভাবে তারা এত বিলাসবহুল জীবন-যাপন করে? দেখেছি ক্যাসিনোতেও যায় সে কীভাবে? নিশ্চয়ই সরকারি ভাতা দিয়ে তো আর জুয়া খেলা যায় না। তাহলে কী তার যোগ্যতা? কী তার আয়ের উৎস? মানি-লন্ডারিংয়ের অবৈধ টাকা দিয়ে বিদেশে লবিস্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে বিএনপি। এসব প্রশ্নতো মানুষের মনে জাগে তাই তারা নির্বাচনে আসতে ভীত।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ, মঞ্জুর আলম শাহীন, আবু আহমেদ নাসিম পাভেল, ডা. খালেদ শওকত আলী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুহা. বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, প্রফেসর ড. মো. রেজাউল কবির, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, ইতালি শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এনায়েত করিম, জাপান শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু প্রমুখ।

বাংলানিউজ