ঢাকারবিবার , ৬ মার্চ ২০২২

২ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ১,০১২ জনের মৃত্যু 

মার্চ ৬, ২০২২ ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ । ১৪১ জন

দুর্ঘটনায় ২০২ জন পথচারী নিহত হয়েছে, যা মোট নিহতের ১৯.৯৬ শতাংশ। বছরের প্রথম দুই মাস- জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে সারা দেশে আট শতাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে নারী ও শিশুসহ এক হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়াও এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় ১২ শতাধিক মানুষ।

শনিবার দেশে সড়কের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা সংস্থা রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

সেখানে বলা হয়েছে, বছরের শুরুর দুই মাস জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে সারাদেশে ৮৪৮টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত ১০১২ ও আহত হয়েছেন ১১৪৬ জন।

সর্বোচ্চ ৪২.২১ শতাংশ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুই মাসে কমপক্ষে ৩৫৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে, তাতে নিহতও হয়েছেন সর্বোচ্চ সংখ্যক- ৩৯.৮২ শতাংশ বা কমপক্ষে ৪০৩ জন।

এছাড়া দুর্ঘটনায় ২০২ জন পথচারী নিহত হয়েছে, যা মোট নিহতের ১৯.৯৬ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ১৪৭ জন, যা প্রায় ১৪.৫২ শতাংশ।

পাশাপাশি এই সময় ২৬টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ৩৫ জন নিহত হয়েছে। এছাড়াও ৩৭ জন নিহত হয়েছে ১২টি নৌ-দুর্ঘটনায়।

নিহতের সিংহভাগ পুরুষ। পাশাপাশি নারী নিহত হয়েছে ১৪৩ জন ও শিশু ১৩০ জন।

দুর্ঘটনাসমূহের ১৫১টি (১৭.৮০%) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ৩৭৯টি (৪৪.৬৯%) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১৯৯টি (২৩.৪৬%) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেয়া, ৯৩টি (১০.৯৬%) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ২৬টি (৩.০৬%) অন্যান্য কারণে ঘটেছে। দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা ১,৪৩৭টি।

এছাড়া রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ৩৫৩টি (৪১.৬২%) জাতীয় মহাসড়কে, ২৯৫টি (৩৪.৭৮%) আঞ্চলিক সড়কে, ১৪৩টি (১৬.৮৬%) গ্রামীণ সড়কে, ৪৬টি (৫.৪২%) শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ১১টি (১.২৯%) সংঘটিত হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিভাগে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে, ২৩১ জন। এই সময়ে রাজধানী ঢাকায় ২১টি দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত হয়েছে।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৭টি জাতীয় দৈনিক, ৫টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

এদিকে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা ও বেপরোয়া গতি, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল ও ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা প্রভৃতিকে প্রাথমিক কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান। সূত্র:  THE BUSINESS STANDARD