ঢাকাসোমবার , ৭ মার্চ ২০২২
  • অন্যান্য

অর্থ পাচার: ব্যবস্থা নিতে কমিটি করেছে সিআইডি

মার্চ ৭, ২০২২ ১২:৩৪ অপরাহ্ণ । ৩৪৮ জন

গ্রীনসিটি ডেস্ক:


পানামা এবং প্যারাডাইস পেপারে যাদের নাম এসেছে তাদের বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সাত সদস্যের একটি কমিটি করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

বিষয়টি উপস্থাপনের পর রোববার (৬ মার্চ) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ কমিটিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) একজন প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১০ এপ্রিল পরবর্তী আদেশের তারিখ রেখে এসময়ের মধ্যে কমিটিকে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আবেদনকারী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস।

কমিটিতে সিআইডির (অর্গানাইজড ক্রাইম) উপ মহাপরিদর্শককে সভাপতি ও ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপারকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

কমিটির সদস্যরা হলেন- সিআইডির দু’জন অতিরিক্ত ডিআইজি, দুদক ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে বিএফআইইউ’র দু’জন প্রতিনিধি এবং সিআইডির লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপারকে।

সিআইডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ কমিটি হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সংস্থা, বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করবে। অর্থপাচার মামলায় অনুসন্ধান বা তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগের আগে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেবে এবং সংশ্লিষ্ট হাইকোর্ট বেঞ্চে যথাসময়ে প্রতিবেদন দাখিল করবে।

এর আগে ৩০ জানুয়ারি এ বিষয়ে প্রতিবেদন চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।

ওই দিন দুদক, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএফআইউ’র প্রতিবেদন দাখিলের পর এ আদেশ দেন।

বিদেশি ব্যাংক বিশেষ করে সুইস ব্যাংকে পাচার করা ‘বিপুল পরিমাণ’ অর্থ উদ্ধারের যথাযথ পদক্ষেপের নির্দেশনা চেয়ে গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস।

ওই রিটের প্রাথমিক শুনানির নিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। সুইস ব্যাংকসহ অন্যান্য বিদেশি ব্যাংকে বাংলাদেশের ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোনো সত্ত্বা কে-কত টাকা পাচার করেছে, পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনতে এবং পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সে তথ্য জানতে চাওয়া হয়।

এ মামলায় ১৪ নম্বর বিবাদী ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক। এ আদেশ অনুসারে সিআইডির দেওয়া এসব তথ্য পুলিশ মহাপরিদর্শকের পক্ষে গত বছরের ১২ জুলাই অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়। এছাড়া দুই পর্বে গত ৫ ডিসেম্বর এবং ৩০ জানুয়ারি প্রতিবেদন দাখিল করে দুদক। আর বিএফআইউ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকও ৩০ জানুয়ারি প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। এতে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম ওঠে আসে।- বাংলানিউজ

Paris