গ্রীনসিটি ডেস্ক:
খবর সংগ্রহের সময় গেল বছরে আফগানিস্তানের কান্দাহারে ‘তালেবান হামলায়’ মারা যান পুলিৎজার পুরস্কারজয়ী ভারতীয় চিত্রসাংবাদিক দানিশ সিদ্দিকি (৩৮)। তিনি সংবাদ সংস্থা রয়টার্সে কর্মরত ছিলেন। এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তালেবানের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া শুরু করেছেন দানিশ সিদ্দিকির বাবা-মা।
নয়াদিল্লি ভিত্তিক আইনজীবী আভি সিং এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ৬ জন তালেবান নেতা ও অন্যান্য অজ্ঞাত কমান্ডারের বিরুদ্ধে দানিশের বাবা-মা হেগ’এ অবস্থিত আইসিসির আইনি ব্যবস্থা চেয়েছিলেন। কারণ তাদের ছেলে একজন ফটোসাংবাদিক ও ভারতীয় নাগরিক হওয়ায় উক্ত দলটি তাকে টার্গেট করে এবং হত্যা করে।
দানিশ নয়াদিল্লিতে ছিলেন। আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ২০ বছরের দীর্ঘ যুদ্ধের অবসান ঘটাতে সৈন্য প্রত্যাহার করলে, আফগানিস্তান পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্যে পরিচালিত তালেবান অভিযান কভার করতে সেখানে যান তিনি।
আভি সিং ও দানিশের পরিবার সংবাদ সম্মেলনের আগে এক বিবৃতিতে জানান, দানিশ “তালিবান দ্বারা অবৈধভাবে আটক, নির্যাতন ও হত্যার শিকার হন এবং তার দেহ বিকৃত করা হয়”।
গত বছরের ১৬ জুলাই তালেবানের কাছ থেকে আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তের শহর স্পিন বোল্ডাক পুনরুদ্ধারের জন্য অভিযান চালায় সরকারি বাহিনী। কিন্তু সরকারি সৈন্যদের ব্যর্থ প্রচেষ্টার সময়ে দানিশ সিদ্দিকী নিহত হন। তিনি তখন আফগানিস্তান স্পেশাল ফোর্সের সাথে ছিলেন।
গত আগস্টে তালেবান মুখপাত্র মুজাহিদ দানিশকে বন্দি ও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সংবাদ অস্বীকার করেন এবং আফগান নিরাপত্তা বাহিনী ও ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তাদের ‘সম্পূর্ণ ভুল’ বলে প্রত্যাখ্যান করেন।
এর আগে রয়টার্স রিপোর্ট করে যে, তারা “তালেবান ইচ্ছাকৃতভাবে দানিশ সিদ্দিকীকে হত্যা করেছে বা তার লাশ অপবিত্র করেছে তা নিরপেক্ষভাবে নির্ধারণ করতে পারেনি।’’
রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট নিয়ে কাজ করার জন্য ২০১৮ সালে পুলিৎজার পেয়েছিলেন মুম্বাইয়ের দানিশ সিদ্দিকি। ভারতের রয়টার্সের আলোকচিত্রীদের দলটির প্রধান ছিলেন দানিশ।
সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন