নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রীতি ম্যাচে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার দফতরের কর্মকর্তাদের নিয়ে পদ্মা এক্সপ্রেস চার উইকেটে হারিয়েছে গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে গড়া দল রাজশাহী গ্লাডিয়েটরকে।
টানা ৪ ম্যাচ জয়ের পর পদ্মা এক্সপ্রেসের কাছে ৪ উইকেটে পরাজয়ের পর প্রথম হারের স্বাধ গ্রহণ করলো রাজশাহী গ্লাডিয়েটর। এর আগে রাজশাহী গ্লাডিয়েটর চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও খুলনা টাইগারকে দুইবার করে হারানোর পর গ্লাডিয়েটরের নিজ মাঠে প্রথম পরাজয়।
শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান বিভাগীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচে রাজশাহী গ্লাডিয়েটরকে ৪ উইকেটে পরাজিত করে রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের দল পদ্মা এক্সপ্রেস। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন রাজশাহী গ্লাডিয়েটরের অধিনায়ক কবীর তুহিন। টপ অর্ডারের ব্যাটারদের ব্যর্থতায় নির্ধারিত ১৫ ওভারের খেলায় ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৬৭ রান করে রাজশাহী গ্লাডিয়েটর। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৪ রান আসে অধিনায়কের ব্যাট থেকে। এছাড়াও সহ অধিনায়ক শাহজাদার করেন ১২ রান। পদ্মা এক্সপ্রেসের বোলারদের মধ্যে দীপন ৯ রান, আরোজ ১৩ রান ও রাজু ১৬ রানের বিনিময়ে ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
৬৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে বিপদে পরে যায় পদ্মা এক্সপ্রেস। এক সময় তারা ৯ ওভারে ৩৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসলে জয়ের আসা বাঁচিয়ে রাখে রাজশাহী গ্লাডিয়েটর। ১৩ ওভারে জয়ের জন্য ১২ রান বাকী থাকার সময় লেলিন ও সোহান পর পর দুই বলে ২টি ক্যাচ ফেলে বাউন্ডারী করে দিলে রাজশাহী গ্লাডিয়েটটের হাত থেকে ম্যাচ বের হয়ে যায়। অবশেষে ১৪.২ ওভারে ৬৮ রান তুলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পদ্মা এক্সপ্রেস। দলের পক্ষে পিয়ারুল ১৬ ও অভিজিৎ ১৪ এবং মনু‘র ১৩ রান উল্লেখযোগ্য। রাজশাহী গ্লাডিয়েটরের সোহান ১৪ রানে ২ উইকেট, এছাড়াও লেলিন ২ রানে, আশিক ৮ রানে, শাহজাদা ১২ রানে এবং সুমন ১৭ রানের বিনিময়ে একটি করে উইকেট লাভ করেন।
খেলা শেষে বিজয়ী দলের অধিনায়ক অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার জিয়াউল হক ও পদ্মা এক্সপ্রেস দলের অধিনায়কের হাতে ট্রফি তুলে দেন অনুষ্ঠানে আগত অতিথি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট, দৈনিক সোনার দেশের সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত, দৈনিক সোনালী সংবাদ সম্পাদক লিয়াকত আলী, আরইউজের সাবেক সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান খান আলম ও রাজশাহী গ্লাডিয়েটরের সভাপতি কাজী শাহেদ।
