নিজস্ব প্রতিবেদক:
রমজানের প্রথম দিন থেকে মিষ্টি বিপণী ‘রসগোল্লা’ রাজশাহী নগরীতে বিক্রি শুরু করে কাঁচা আমের জিলাপি। সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের কল্যাণে রাজশাহীর এই কাঁচা আমের জিলাপি সর্বত্র হইচই ফেলে দেয়।
তবে এতদিনে জানা গেল সর্বত্র সাড়া ফেলে দেওয়া এই জিলাপি কাঁচা আম দিয়ে তৈরি হয় না বরং ফুড কালার আর ফ্লেভার ব্যবহার করে তৈরি করা হয়।
এই অভিযোগে শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। এরপর ইফতারের পর সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে প্রতারণার দায়ে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে। একই সঙ্গে কাঁচা আমের নামে জিলাপি বানানো বন্ধ করে দেয় তারা।
শুক্রবার দুপুরে চলা ভোক্তা অধিকারের এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান-আলা-মারুফ। এ সময় বিএসটিআই’র প্রতিনিধি ও ডিবির উপ-পুলিশ কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।
সহকারী পরিচালক হাসান-আল-মারুফ বলেন, প্রতিশ্রুত পণ্য যথাযথ ভাবে বিক্রি বা সরবরাহ না করার অভিযোগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে (২০০৯ এর ধারা ৪৫ অনুযায়ী) ওই প্রতিষ্ঠানটিকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তারা ‘কাঁচা আমের জিলাপি’ নামে যা বিক্রি করছিল সেটা আসলে পুরোপুরি কাঁচা আমের নয়। ফুড কালার ব্যবহার করে ওই জিলাপির রং সবুজ করা হয় এবং এর সঙ্গে যুক্ত করা হয় কাঁচা আমের ফ্লেভার।
তিনি আরো বলেন, ওই জিলাপিতে সামান্য পরিমাণে অপরিপক্ক গুটি আম ব্যবহার করেছে প্রতিষ্ঠানটি। জিলাপির মূল উপাদান হলো- কালাইয়ের আটা, ময়দা ও ফুড কালার। এজন্য প্রতিষ্ঠানটিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে অভিযানের পর রসগোল্লা’র স্বত্বাধিকারী আরাফাত রুবেল বলেন, এটি আসলে কাঁচা আমের জিলাপি নয়। কাঁচা আমের স্বাদের (ম্যাংগো ফ্লেভার) জিলাপি। অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কর্মকর্তারা আমাদের কাঁচা আমের জিলাপি পর্যবেক্ষণ করেছেন। তারা জিলাপির ফুড কালার ও গুণগত মান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও আমের সাইজ এবং পরিমাণ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এছাড়াও আমাদের কাঁচা আমের জিলাপির বিজ্ঞাপনের ভাষা সঠিকভাবে উপস্থাপন না করায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।