ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১২ মে ২০২২

রাজশাহীতে আম নামানো শুরু হচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার থেকে

মে ১২, ২০২২ ৬:২২ অপরাহ্ণ । ১৮৮ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীতে আম পাড়ার সময় বেঁধে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। অসময়ে আম সংগ্রহ বন্ধ রাখতে গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামীকাল শুক্রবার (১৩ মে) থেকে সব প্রকার গুটি আম পাড়তে পারবেন চাষিরা।

রাজশাহীর ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. শরীফুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার (১২ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুসারে, আগামী ১৩ মে থেকে শুরু হয়ে মৌসুম চলবে ২০ আগস্ট পর্যন্ত।

সভায় আলোচনা শেষে জানানো হয়, রাজশাহীর চাষিরা গোপালভোগ আম নামাতে পারবেন আগামী ২০ মে থেকে। লক্ষ্মণভোগ ও রানী পছন্দ নামানো যাবে ২৫ মে থেকে। এছাড়া হিমসাগর বা খিরশাপাত নামানো যাবে ২৮ মে থেকে।

ল্যাংড়া ৬ জুন, আম্রপালি ও ফজলি আম ১৫ জুন, আশ্বিনা ও বারী আম-৪ ১০ জুলাই, গৌড়মতি ১৫ জুলাই এবং সবার শেষে নতুন জাতের ইলামতি আম ২০ আগস্ট গাছ থেকে ভাঙা যাবে। এভাবে সময় মেনে নামানো রাজশাহীর বিষমুক্ত আম হবে পুরো দেশের জন্য মৌসুমি উপহার।

May be an image of 2 people, people standing, people sitting, indoor and text that says "8 জেলা নকের স"

রাজশাহীর ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক শরিফুল ইসলাম বলেন, অপরিপক্ব আম বাজারজাত ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে থাকবে প্রশাসন। সুষ্ঠুভাবে মনিটরিং করে নির্দিষ্ট সময়েই আম নামানো হবে।

তিনি বলেন, অসময়ে আম পাড়া বন্ধে এবং ক্যালসিয়াম কার্বাইড, পিজিআর, ফরমালিন, ইথোফেনের মতো কেমিক্যাল ব্যবহারের মাধ্যমে যেন আম পাকানো না হয় তার জন্য নামানোর ক্ষেত্রে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পরিপক্ব আম নামানোর বিষয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং পুলিশ কঠোরভাবে মনিটরিং করবে। তবে স্থানীয়ভাবে আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে কোথাও কোথাও নির্ধারিত সময়ের আগে গাছে আম পাকলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়ে চাষিরা আম পাড়তে পারবেন।

রাজশাহী কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, রাজশাহীতে এ বছর ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে থাকা বাগান থেকে ২ লাখ ১৬ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাপদাহসহ নানা কারণে গাছে ফলন কম হলেও সমস্যা হবে না। ঝড়-ঝঞ্ঝা ও শিলাবৃষ্টির কবলে না পড়লে এ আম দিয়েই গোটা দেশের চাহিদা পূরণ সম্ভব।

Paris