নিজস্ব প্রতিবেদক:
কোরবানি ঈদ আসলে ফ্রিজ কেনা-বেচা বাড়ে। এবছরও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে বিদেশি পণ্যের চেয়ে দেশি ব্যান্ডের ফ্রিজ বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে। প্রতিবছর ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশুকোরবানি ও মাংস সংরক্ষণকে সামনে রেখে বৃদ্ধি পায় ফ্রিজ কেনাবেচা। ঈদের মাত্র আর ৪দিন বাকি; শেষ সময়ে ব্যস্ততা বেড়েছে শো-রুমগুলোতে।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) শহরের ওয়ালটন শো-রুমগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে তুলনামূলক ক্রেতা কম মার্সেল, স্যামসাং, এলজি বাটারফ্লাই, ইকো, হিটাচিসহ বেস্ট ইলেকট্রনিক্স শোরুমগুলোতে। প্রতি বছর কোরবানি ইদের আগে ফ্রিজের চাহিদা বেড়ে যায়। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পছন্দ মত বিভিন্ন ডিজাইনের, রঙের ও ভিন্ন ভিন্ন দামের ফ্রিজ কিনে থাকে।

বিক্রয় সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন বৈদেশিক আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির কারণে সকল পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া ডলারের মূল্য ওঠানামার কারণে ইন্টানেশনাল ব্র্যান্ডের পণ্যগুলোতে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। বাজারে ১ মাসের ব্যবধানে হিটাচির যে রেফ্রিজারেটর দুই লাখ পঁচাত্তর হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে সেটি এখন তিন লাখ পনেরো হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বর্তমানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফ্রস্ট ও ননফ্রস্ট ফ্রিজের মধ্যে নন ফ্রস্ট ফ্রিজের চাহিদা তুলনামূলক ভাবে বেড়েছে।
নগরীর পঞ্চবটি এলাকার মাইদুল ইসলাম কোরবানি উপলক্ষে এসেছেন ফ্রিজ কিনতে। তিনি বলেন, এখনকার ফ্রিজগুলো বেশ আপডেট। আগের মতো বেশি বরফ জমে না; বরফ ছাড়াই ঠান্ডা রাখে। বিদেশি ব্র্যান্ডের চেয়ে এবছর দেশি ব্রান্ডে আগ্রহী ক্রেতারা।
আলুপট্টি ওয়ালটন শোরুমের ম্যানেজার শাহাদাৎ হোসেন খান জানান, ওয়ালটনের ফ্রিজ ভালো বিক্রি হচ্ছে।