ঢাকাসোমবার , ১৮ জুলাই ২০২২

নেই বৃষ্টি, তাপদাহে পুড়ছে রোপা আমন

জুলাই ১৮, ২০২২ ২:১৬ অপরাহ্ণ । ১৬৫ জন

তাপদাহে পুড়ছে সীমান্ত জেলা নওগাঁ। গত দেড় মাসে এ জেলায় বৃষ্টি হয়নি।তাপদাহের কারণে মাঠের পর মাঠ পুড়ছে রোপা আমন ধান-সবজি। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সম্প্রতি রোপণ করা রোপা আমনের চারায় ফাটল ধরেছে। বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। ফেটে চৌচির হয়ে গেছে চাষি জমি। নওগাঁর প্রতিটি মাঠের চিত্রই একইরকম। একই অবস্থা মৌসুমি ও বারোমাসি সবজি খেতেরও।

সাপাহার সদর উপজেলার কৃষক কুদ্দুস আলী বলেন, সাধারণ সময়ের চেয়ে অতিরিক্ত তাপদাহ হচ্ছে এবার। রোদের তাপে ঘর থেকে বের হওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। নদী-নালাগুলোয় পানি থাকার কথা থাকলেও তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। বৃষ্টি নেই প্রায় এক মাস। এ অবস্থায় জমির ধান নষ্ট হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। মৌসুমের আবাদ এখন অনিশ্চিত।

তিনি আরও বলেন, এ মুহূর্তে কৃষকদের যদি গভীর নলকূপ থেকে পানি সেচ করে চাষাবাদ করতে চায়, তাহলে খরচ বেড়ে যাবে। ঘন ঘন সেচ আর অতিরিক্ত খরচ করে চাষাবাদের ফলাফল শূন্য।

সদর উপজেলার বাইপাস এলাকার কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, অনেক কষ্টে মাঠের পাশে একটি ডোবা থেকে পানি সেচে আড়াই বিঘা জমিতে ধানের চারা রোপণ করেছি। কিন্তু ১৫ দিনের মাথায় রোপণ করা ধান গাছগুলো পুড়ে গেছে। বৃষ্টি না হলে এবার আর ধান হবে না। শুধু একজন-দুজন নয়, প্রায় সবার খেতেই একই অবস্থা। এ বছর পানির অভাবে অনেক কৃষক বীজতলা তৈরি করতে পারেননি বলেও তিনি জানান।

একই কথা জানিয়েছেন স্থানীয় মৌসুমি ও বারোমাসি সবজি উৎপাদনকারীরাও।

নওগাঁ সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারহানা নাজনিন বলেন, এ সময় রোপা আমনের চাষ মূলত বৃষ্টির পানির উপর নির্ভর করে করা হয়। গত এক মাস ধরে এ অঞ্চলে বৃষ্টি নেই। তাই দুর্যোগ মোকাবিলায় এর মধ্যেই বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে গভীর নলকূপগুলো চালুর বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে কিছুটা আশাবাদী আবহাওয়া অধিদপ্তর। নওগাঁর বদলগাছি আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, আগামী মঙ্গলবারের (১৯ জুলাই) পর থেকে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই জেলায় কেমন বৃষ্টিপাত হবে সেটা সঠিক ভাবে বলা যাচ্ছে না৷ তবে সার্বিকভাবে বৃষ্টির একটা পূর্বাভাস আছে।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে এ মৌসুমে নওগাঁ জেলায় ১ লাখ ৯২ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।-বাংলানিউজ

Paris