নিজস্ব প্রতিবেদক:
বৈশ্বিক সংকটের ভেতরে নেতিবাচক বুদ্ধিজীবীরা সরকারের হাহাকারের কথা বলছেন বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেছেন, ‘এই যে এখন বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে একটা হাহাকারের কথা বলা হচ্ছে। কিছু আমাদের নেতিবাচক বুদ্ধিজীবী, যাঁরা চায় এই সরকারের তাড়াতাড়ি পতন হোক, যাঁরা চায়, দেশ বিপর্যয়ে যাক। খাদ্য সংকট, দুর্ভিক্ষ হোক, তাহলে তাড়াতাড়ি একটা আন্দোলন হবে। আন্দোলন হলে তারা ক্ষমতায় আসবে অথবা অসাংবিধানিক সরকার।
’আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহীতে ‘বিদ্যমান শস্যবিন্যাসে তেল ফসলের অন্তর্ভুক্তি এবং ধান ফসলের অধিক ফলনশীল জাতসমূহের উৎপাদন বৃদ্ধি’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতা নিলে এই সকল বুদ্ধিজীবীদের প্রথমে উপদেষ্টা তারপরে আস্তে আস্তে মন্ত্রী বানাবে। তাঁরা মানবতার শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু। কোন অগণতান্ত্রিক, সামরিক, স্বৈরাশাসক সরকার দেশে উন্নয়নের স্থিতিশীলতা দিতে পারেনি। প্রত্যেকের বিপর্যয় হয়েছে। প্রত্যেককে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে আইয়ুব খান থেকে শুরু করে সব খানদের বিপর্যয় হয়েছে। তারা বিতাড়িত হয়েছে।
’তিনি বলেন, ‘পুষ্টিসম্মত খাবার মানুষের মুখে তুলে দেওয়ার জন্য অনেক বেশি জমি দরকার। সেই জমি নাই। কিন্তু প্রযুক্তি আছে। আমাদের বিজ্ঞানীরা পরিশ্রম করছে। নতুন নতুন জাত আনছে। আগে সরিষা দিয়েই তেলের চাহিদা মিটতো। তেলজাতীয় পণ্য আমদানি করে আমরা কত টাকা খরচ করি! অনেকে বিশ্বাসই করবে না যে, ভোজ্যতেল আমদানি করতেই বছরে দুই-আড়াই বিলিয়ন ডলার আমরা খরচ করি। এটা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
’মন্ত্রী আরও বলেন, গত অর্থবছরে ৮১ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে আমদানি করতে। আন্তর্জাতিক বিশ্ব নির্দয়-নিষ্ঠুর। জাতীয় স্বার্থে-দেশের স্বার্থে তাদের মধ্যে কোন নীতিবোধ-আদর্শবোধ কাজ করে না। তাই খাদ্যের জন্য বিদেশের ওপর নির্ভরশীল হওয়া যাবে না।’
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এই কর্মশালার আয়োজন করে। এতে সহযোগিতা করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। কর্মশালায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সকল দপ্তরের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অংশ নিয়েছিলেন রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কর্মকর্তারাও।