গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চালাচ্ছে রাশিয়া। এরই মধ্যে দেশটির বেশ কিছু অঞ্চল দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী।
ইউক্রেনের জাপোরিজঝিয়া পরমাণু কেন্দ্রটিও দখল করে নিয়েছে রাশিয়া। এখন ওই পরমাণু কেন্দ্র থেকেই রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে মিসাইল হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।
নিউ ইয়র্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনা করার সময় ব্লিংকেন বলেন, ওই পরমাণু কেন্দ্র থেকে রাশিয়া আক্রমণ চালাচ্ছে। তারা জানে, ইউক্রেনের সেনারা পাল্টা পরমাণু কেন্দ্রে আক্রমণ চালাতে পারবে না। সেক্ষেত্রে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকবে। মস্কো সেই সুযোগটাই ব্যবহার করছে। যা শুধু অন্যায় নয়, অবৈধও।
নিউ ইয়র্কে পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার আটকানো নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেছেন বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অবশ্য সেখানে যোগ দেননি। তবে তিনি একটি নোট পাঠিয়েছেন। তাতে বলা হয়েছে, “পরমাণু যুদ্ধে কেউ জয়ী হতে পারে না। তাই আশা করা যায়, কোনও দেশ পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে না।”
সম্মেলনে যোগ দেওয়া অন্য দেশগুলো অবশ্য রাশিয়ার তীব্র নিন্দা করেছে। আন্তর্জাতিক অ্যাটমিক এজেন্সির ডিরেক্টর জেনারেল রাফায়েল গ্রসি জানিয়েছেন, জাপোরিজঝিয়া পরমাণু কেন্দ্রে যেকোনও সময় বিরাট দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। রাশিয়াকে তার দায় নিতে হবে।
জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, “ঠাণ্ডা যুদ্ধের পর থেকে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের আশঙ্কা এত প্রবলভাবে কখনও দেখা যায়নি।”
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক জানিয়েছেন, রাশিয়ার আগ্রাসন দেখে বোঝা যাচ্ছে, পরমাণু অস্ত্র এখনও ভূরাজনীতির বাস্তবতা।
ইউক্রেনের পরমাণু কেন্দ্র থেকে লড়াই চালানোর যে অভিযোগ রাশিয়ার বিরুদ্ধে তোলা হয়েছে, সে বিষয়ে মস্কো এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি। সূত্র: রয়টার্স, ডয়েচে ভেলে
বিডি প্রতিদিন/