সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কৃষি খাতকে এগিয়ে নিতে গম ও ভুট্টা চাষে এ স্কিম চালু করা হয়েছে। বর্তমান সংকটের কথা মাথায় রেখে সরাসরি কৃষকদের মাঝে ঋণ বিতরণ করবে ব্যাংকগুলো। বিতরণকৃত ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলোকে ০.৫০ শতাংশ সুদ পরিশোধ করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। কৃষকদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ সুদ আদায় করতে পারবে ব্যাংকগুলো। চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে ৩ বছরের এ স্কিমের মেয়াদ শুরু হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন,
“গম ও ভুট্ট আমাদের আমদানি করতে হয়। বর্তমানে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে একটি সমস্যা তৈরি হয়েছে।
যার কারণে এক হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম চালু করা হয়েছে। যাতে দেশে এসব উৎপাদন করে চাহিদা মেটাতে পারে।
আরো পড়ুন:বসুন্ধরা গ্রুপ, উত্তরা মটরস, এসএমসি ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থায় চাকরি
আরো পড়ুন: সিটিতে ৩৫, দূরপাল্লায় কিলোমিটারে ৪০ পয়সা ভাড়া বাড়লো
আরো পড়ুন: জুলাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭৩৯
প্রসঙ্গত, করোনা মহামারির কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায়
সম্প্রতি শিল্প ও সেবা খাতের জন্য তৃতীয় পর্যায়ে ৩০ হাজার কোটি টাকার আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রণোদনা প্যাকেজের ৩য় ও সর্বশেষ পর্যায় বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শিল্প ও সার্ভিস
\সেক্টরের প্রতিষ্ঠানের (সিএমএসএমই ছাড়া) জন্য ২৭ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনার ঋণ দেওয়া হবে।
এছাড়া বেজা, বেপজা ও বাংলাদেশ হাই-টেক কর্তৃপক্ষতে অবস্থিত ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ টাইপ শিল্প প্রতিষ্ঠান
এবং এসব অঞ্চলের বাইরে অবস্থিত শতভাগ বিদেশি মালিকানাধীন ও যৌথ
মালিকানাধীন (দেশি ও বিদেশি) প্রতিষ্ঠানের জন্য ৩ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা তহবিল ঘোষণা করা হয়েছে।
সব মিলিয়ে এ খাতে ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
যেসব প্রতিষ্ঠান প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ঋণ ও বিনিয়োগ সুবিধা পায়নি, সেসব প্রতিষ্ঠান ৩য় পর্যায়ে ঋণ পাবে।
গম ও ভুট্টা এ সুবিধা পাওয়ার জন্য ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বরের
চলতি মূলধন ভিত্তিতে প্রণোদনার ঋণ সীমা নির্ধারিত হবে।
এ প্যাকেজের আওতায় আগে যেসব প্রতিষ্ঠান ঋণ সুবিধা পায়নি তারা অগ্রাধিকার পাবে।
যারা প্রণোদনা সুবিধা পেয়েছে তারা অন্য কোনো ব্যাংক থেকে প্রণোদনা সুবিধা পাবে না।
এ প্যাকেজের আওতায় ৩য় পর্যায়ে ঋণ বিতরণ কার্যক্রম আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত চলবে।- সূত্র বিজনেস স্ট্যান্ডান্ট