ঢাকাবুধবার , ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচন: আলোচনায় আ. লীগের পাঁচ নেতা

সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২ ১২:০০ অপরাহ্ণ । ২৭৬ জন

রাজশাহী জেলা পরিষদ। দেশে জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরই রাজশাহী জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান প্রার্থী কে হচ্ছেন তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়। ২৩ আগস্ট তফসিল ঘোষণার পর রাজশাহী জেলার সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতার নাম শোনা যাচ্ছে।

রাজশাহীতে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- কাঁকনহাট পৌরসভার তিনবারের সাবেক মেয়র আব্দুল মজিদ মাস্টার, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রায়হানুল হক রায়হান, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান (বর্তমান প্রশাসক) মোহাম্মদ আলী সরকার ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ও দেওপাড়া ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান আখতার।
এর মধ্যে সাংগঠনিক ও স্বচ্ছতার দিক থেকে ক্রীড়া সংগঠক ও কাঁকনহাট পৌরসভার তিনবারের সাবেক মেয়র ও কাঁকনহাট পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল মজিদ মাস্টার রয়েছেন এগিয়ে। আব্দুল মজিদ মাস্টার বিগত ১৯ বছর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু ২০২০ সালের পৌর নির্বাচনে দল মনোনয়ন না দেওয়ার তিনি দলের সিদ্ধান্তের প্রতি আনুগত্য ও শ্রদ্ধা দেখিয়ে নির্বাচন থেকে সরে আসেন। শুধু তাই নয় সে সময়ে দলের মনোনীত প্রার্থীর হয়ে কাজ করে নৌকাকে বিজয়ী করেন।
আরেকজন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল। তিনি দীর্ঘদিন ক্ষমতাসীন দলের প্রথম সারির নেতা। দীর্ঘ দিন থেকে তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতির পদে রয়েছেন। এই নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান।
তিনি ছাড়াও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও চারঘাটের বাসিন্দা রায়হানুল হক রায়হান ১৯৯৬ সালের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেও ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর কাছে হেরে যান।
বর্তমান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আলী সরকার বিগত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। বর্তমানে সরকারের বর্ধিত সময়ে জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়াও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আখতারুজ্জামান আখতার প্রার্থী হওয়ার কথা জানা গেছে। জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান হিসেবে তিনবার দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। কিন্তু বিগত নির্বাচনে তিনি দলীয় টিকিট পাননি। তার বিরুদ্ধে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা এবং দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে।
জেলার পরিষদ নির্বাচন প্রশ্নে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা বলেন, কেবল তো তফসিল ঘোষণা হলো। সময় হওয়ার আগেই জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সমন্বিত সিদ্ধান্তে প্রার্থীদের তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন সমন্বয় করবেন। তারপরই প্রার্থীর ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান তিনি।- বাংলানিউজ

Paris