গ্রীনসিটি ডেস্ক:
আজ অক্টোবরের জন্য এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্ম জুমে নতুন এই দামের ঘোষণা দেন বিইআরসির চেয়ারম্যান আবদুল জলিল।
বাজারে দাম কার্যকর না হওয়ার বিষয়ে আবদুল জলিল বলেন, এ ব্যাপারে ভোক্তা যদি সরাসরি কমিশনে অভিযোগ করেন, তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত বছরের ১২ এপ্রিল দেশে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করে বিইআরসি। এর পর থেকে প্রতি মাসে দাম সমন্বয় করা হচ্ছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আবদুল জলিল বলেন, কোম্পানির কাছ থেকে বেশি দামে কেনার বিষয়ে পরিবেশকেরা (ডিলার) কেউ কমিশনে অভিযোগ করেননি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে আবদুল জলিল বলেন, নির্ধারিত দামে বিক্রি না হলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ব্যবস্থা নেবে। বিভিন্ন সময় ব্যবস্থা নিতে তাদের বিইআরসি অনুরোধ করেছে।
গ্যাস না পেয়েও প্রতি মাসে বিল দিচ্ছেন গ্রাহকেরা, এ বিষয়ে কমিশনের কী করার আছে—জানতে চাইলে বিইআরসির সদস্য মকবুল ই ইলাহী চৌধুরী বলেন, কোনো লিখিত অভিযোগ কমিশনে আসেনি। কেউ অভিযোগ করলে কমিশন ব্যবস্থা নিতে পারে।
বিইআরসি জানায়, সরকারি এলপিজির দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। বেসরকারি খাতে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি এলপিজির নতুন দাম ১০০ টাকা ১ পয়সা। এ হিসাবে বিভিন্ন পরিমাণের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারিত হবে। এ ছাড়া গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির (অটো গ্যাস) নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার ৫৫ টাকা ৯২ পয়সা, যা আগে ছিল ৫৭ টাকা ৫৫ পয়সা।
জানা গেছে, এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এ দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি।
দাম ঘোষণার সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিইআরসির সদস্য আ ব ম ফারুক, মোহাম্মদ বজলুর রহমান ও মো. কামরুজ্জামান।
কালের কণ্ঠ