নিজস্ব প্রতিবেদক:
পাঁচ দিনব্যাপী শারদ উৎসব শেষে ৬ অক্টোবর বুধবার বিজয় দশমিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা।
বর্ণাঢ্য আয়োজন ও আনুষ্ঠানিকতার পর আজ দশমীতে শুরু হয়েছে প্রতিমা বির্সজন। আজ বেলা ১২টার রাজশাহী নগরীর কুমারপাড়া মুন্নুজান পদ্মাঘাটে বদ্দা-কালিবাড়ি মন্ডপের প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিসর্জন কার্যক্রম।
বিসর্জনের দিনে রাজশাহীর দেবালয় মন্দিরে সকাল থেকে শুরু হয় ভক্তদের আরাধনা। দেবী দুর্গার পায়ে ছোয়ানো সিঁদুরে স্বামীর মঙ্গল কামনায় সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠে সধবা মেয়েরা।
এদিকে, রীতি অনুযায়ী প্রতিমাকে সাত পাক ঘুরিয়ে তোলা হয় নৌকায়। বাদ্যের তাল ও মন্ত্রপাঠের মধ্য দিয়ে কিছুক্ষণ নৌভ্রমণ শেষে পদ্মার বুকে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বিদায় জানানো হয় দেবি দুর্গাকে। বিসর্জন দৃশ্য দেখতে পদ্মাপাড়ে ভীড় করেন অসংখ্য মানুষ।
দুপুরে নগরীর পুজো মণ্ডপ থেকে একে একে ঘাটে আসতে শুরু করে প্রতীমা। পরে নৌকায় তুলে দেবী দুর্গাকে ঘুরিয়ে করা হয় নিরঞ্জন। এর আগে পান্তাভাত খাইয়ে মাকে বিদায় জানানো হয়।
নির্বিঘ্নে বিসর্জন সম্পন্ন করতে মহানগরীর মুন্নুজান, পঞ্চবটি, আলুপট্টি, ফুদকিপাড়া ও বড়কুঠি ঘাটে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিসর্জনের সময় উচ্চস্বরে মাইক বাজানো, শোভাযাত্রা ও গানবাজনা নিষিদ্ধ ও এলাকাগুলোতে টহল বাড়িয়েছে পুলিশ ও র্যাব।
প্রতিটি ঘাটে রয়েছে একাধিক সিসি ক্যামেরা। নদীতে গোয়েন্দা ও নৌ পুলিশের বিশেষ বহর সহ রয়েছে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সময় সীমা নির্ধারণ না করলেও রাত ১২টার মধ্যে এ আয়োজন শেষ করতে চায় আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।
