‘গুডবাই’ সিনেমার গল্প মধ্যবিত্ত পরিবারের এক বৃদ্ধকে কেন্দ্র করে, যার স্ত্রী হঠাৎ মারা যায়। এরপর তিনি কীভাবে সন্তানদের সঙ্গে দূরত্ব ঘুচিয়ে সেতুবন্ধ করেন, তা নিয়েই কাহিনি এগিয়ে যায়। এতে তুলে ধরা হয়েছে আত্ম-আবিষ্কার, পরিবারের গুরুত্ব ও যেকোনো পরিস্থিতিতে জীবনকে উদ্যাপনের বক্তব্য। ছবিতে আরও দেখা গেছে রাশমিকা মান্দানা, নীনা গুপ্তা, সুনীল গ্রোভার, আশীষ বিদ্যার্থী, ইলি আভরাম, পাভেইল গুলাটি, সাহিল মেহতা ও শিবিন নারাঙকে।
‘গুডবাই’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হলো রাশমিকা মান্দানার। তাঁকে দেখা গেছে তারা চরিত্রে। অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে অভিনয় করতে পারার ঘটনা এখনো নিজের কাছে বিশ্বাস হচ্ছে না তাঁর! মুম্বাইয়ের জুহুতে আয়োজিত ছবির ট্রেলার মুক্তির অনুষ্ঠানের দিন তিনি বলেন, ‘অমিতাভ স্যারের সঙ্গে কাজ করা, তাঁর সঙ্গে কথা বলা, একই মঞ্চ ভাগ করতে পারা, একই বিষয় নিয়ে কথা বলা, তাঁর সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ পাওয়া—সবই যেন স্বপ্নের মতো। স্যারের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ। এটি পরম একটি সম্মান এবং এ অভিজ্ঞতা আমার কাছে চিরকাল বিশেষ হয়ে থাকবে।’
৮, ৯ ও ১০ অক্টোবর টিকিট বিক্রি হয়েছে ১৫০ রুপি করে। তবে আজ জন্মদিনে উৎসবের টিকিট মিলবে ৮০ রুপিতে। উৎসবে বড় পর্দায় দেখানো হচ্ছে অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ‘ডন’, ‘কালা পাথর’, ‘কালিয়া’, ‘কাভি কাভি’, ‘অমর আকবর অ্যান্টনি’, ‘দিওয়ার’, ‘অভিমান’, ‘চুপকে চুপকে’, ‘নমক হালাল’, ‘সত্তে পে সত্তা’ ও ‘মিলি’। উৎসব প্রসঙ্গে অমিতাভ বচ্চন বলেন, ‘কখনো ভাবিনি এমন দিন আসবে, যখন আমার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের এসব সিনেমা বড় পর্দায় ফিরে আসবে। এটি দারুণ এক উদ্যোগ। কারণ, এর মাধ্যমে আমার সেই সময়ের পরিচালক, সহশিল্পী ও টেকনিশিয়ানদের কাজও দেখা যাচ্ছে, যারা না থাকলে এসব সিনেমা হতো না। এটি এমন একটি যুগ ফিরিয়ে এনেছে, যা হারিয়ে গেছে, কিন্তু মানুষ ভুলে যায়নি।’
আয়োজক প্রতিষ্ঠান পিভিআর লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক অজয় বিজলি উল্লেখ করেন, ভারতে এ ধরনের উৎসব এটাই প্রথম। তাঁর কথায়, ফোন কিংবা ল্যাপটপ নয়, বড় পর্দায় বচ্চন সাহেবের স্মরণীয় চরিত্রগুলো দেখার দারুণ সুযোগ মিলছে উৎসবে। ফিল্ম হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা শিবেন্দ্র সিং দুঙ্গারপুর বলেন, ‘অমিতাভ বচ্চনের ক্যারিয়ারের প্রথম দিককার সেরা সিনেমাগুলোকে একত্র করা ছিল বিশাল একটি কাজ। এসব সিনেমা তাঁকে সুপারস্টার বানিয়েছে। এগুলো মুক্তির সময় দর্শকেরা যেভাবে দেখেছেন, অর্থাৎ বড় পর্দাতেই আবার প্রদর্শন করা বড় ঘটনাই বলব।’
উৎসবটি উপলক্ষে মুম্বাইয়ের পিভিআর জুহুতে অমিতাভের সত্তর ও আশির দশকে তোলা দুর্লভ ছবি, ফুটেজ ও পোস্টার নিয়ে আয়োজিত একটি প্রদর্শনীতে যেন ফিরে এসেছে সোনালি দিন। এতে ‘শাহেনশাহ’ সিনেমায় তাঁর পরা জ্যাকেট প্রদর্শন করা হচ্ছে। স্মৃতিস্মারকের মধ্যে আরও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বিরল এলপি রেকর্ড জ্যাকেট, লবি কার্ড ও শুটিংয়ের স্থিরচিত্র। এগুলো ইন্টারনেটে পাওয়া যায় না। ‘দিওয়ার’ সিনেমায় অমিতাভের শার্ট পরার একটি কাটআউট রাখা হয়েছে গ্যালারিতে।