গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মধুমতী সেতুর উদ্বোধন করেন। এরপর সোমবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে সেতুতে গাড়ি চলাচল শুরু হয়। মধুমতী সেতুর পূর্ব পাড়ে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা এবং পশ্চিম পাড়ে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা। উদ্বোধনের পর থেকেই ছয় লেনের দৃষ্টিনন্দন এই সেতুতে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা।
এদিকে ২৫ টাকা টোল আদায়ের একটি হাতে লেখা রসিদ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে অভিযোগ উঠেছে, টোল আদায়ে দুর্নীতি হচ্ছে। এ বিষয়ে সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহিদ হোসেন বলেন, মাত্র টোল আদায় শুরু হলো। কম্পিউটার সফটওয়ার সব সময় ঠিকমতো কাজ করছে না, তাই দ্রুত গাড়ি ছাড়তে হয়তো রসিদ হাতে লিখে দেওয়া হচ্ছে।
সেতু চালু হওয়ার আগে ইজিবাইক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও টেম্পো তথা তিন চাকার যান কালনা ঘাট থেকে লোহাগড়া ও নড়াইলে যাতায়াত করত। ওই যানগুলো এখন কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়া মোড় থেকে লোহাগড়া ও নড়াইলে যাতায়াত করছে। এতে টোল প্লাজা পার হতে হচ্ছে। ওই রুটের ইজিবাইকচালক কাজী ইবাদত হোসেন, সাগর শেখ ও রকিবুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এসব গাড়ির টোল নেওয়া হচ্ছে ২৫ টাকা, যা তাঁদের মতো মানুষ ও ছোট পরিবহনের জন্য অতিরিক্ত। এসব যানের টোল ৫ বা ১০ টাকা করার দাবি জানান তাঁরা।
এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহিদ হোসেন বলেন, টোল সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে নির্ধারণ করে দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ই তা পরিবর্তন করতে পারবে। এটা তাঁদের জন্য কষ্টকর হলে সবাই মিলে গোপালগঞ্জ সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে দরখাস্ত করলে হয়তো পরিবর্তন হতে পারে।
সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে টোল হার নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কনটেইনার বা ভারী মালামাল পরিবহনে সক্ষম যানের টোল ধরা হয়েছে ৫৬৫ টাকা, বড় ট্রাক বা কাভার্ড ভ্যান ৪৫০ টাকা, মধ্যম ট্রাক ২২৫ টাকা, বড় বাস ২০৫ টাকা, ছোট ট্রাক ১৭০ টাকা, পাওয়ার টিলার বা ট্রাক্টর ১৩৫ টাকা, মিনিবাস বা কোস্টার ১১৫ টাকা, মাইক্রোবাস বা পিকআপ ভ্যান ৯০ টাকা, সিডান কার ৫৫ টাকা, টেম্পো বা সিএনজিচালিত অটোরিকশা ২৫ টাকা, মোটরসাইকেল ১০ টাকা ও ভ্যান, রিকশা বা বাইসাইকেল ৫ টাকা।
প্রথম আলো