গ্রীনসিটি ডেস্ক:
অবশেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন। রোগীদের সীমাহীন দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপে রোববার (২৩ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেন।
মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের পর শনিবার (২২ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটা থেকে তারা ৭২ ঘণ্টার কর্মবিরতিতে যান।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রোববার রামেক হাসপাতালে যান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) সামির হোসেন সাদি। তিনি রামেক হাসপাতালের পরিচালক, চিকিৎসক ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন।
ওই বৈঠকের পর চলমান কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন ইন্টার্নরা। এরপর শনিবার বিকেল ৩টার দিকে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে কথা বলেন স্বাস্থ্য পরিচালক সামির হোসেন সাদি।
তিনি বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতির বিষয়টি তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে মনিটরিং করেছেন এবং গুরুত্বের সাথে নিয়েছেন। এজন্য তিনি রামেক হাসপাতালে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন। সমস্যা নিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের সাথেও কথা হয়েছে তাদের। সবাই এই বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের আশ্বস্ত করেছেন। আশ্বাস পাওয়ায় ইন্টার্নর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করছেন।
এরপর রামেক হাসপাতাল ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ইমরান হোসেন কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, সাধারণ রোগীদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আহ্বানে তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিলেন। তবে তারা তাদের দাবিগুলো মানা হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে আরও তিন দিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন। এই সময়ের মধ্যে তাদের তিন দফা দাবি পূরণ না হলে পরবর্তীতে আবারও সবার সাথে বসে আন্দলোন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
এর আগে, বুধবার (১৯ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে রাবির হবিবুর রহমান হলের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন শিক্ষার্থী শাহরিয়ার। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত রামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়। রামেক হাসপাতালের চিকিৎসকদের অবহেলায় সহপাঠী মারা গেছেন এমন অভিযোগে হাসপাতাল ভাঙচুর করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে হাসপাতালে ভাঙচুরের অভিযোগে কর্মবিরতিতে যান ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।