নিজস্ব প্রতিবেদক:
উদ্বোধনের অপেক্ষায় নগরীর উপশহরের ‘মহানগর মডেল মসজিদ’। ইতোমধ্যে মডেল মসজিদের ৯৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আগামি জানুয়ারি মাসে এই মসজিদের উদ্বোধনের কথা রয়েছে। একই মাসে তানোর মডেল মসজিদের উদ্বোধনের কথা রয়েছে। আর জেলা মডেল মসজিদের কাজ পাইলিং পর্যায়ে রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানায়।
রাজশাহীর প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। রাজশাহীর ৯টি উপজেলার মধ্যে মোহনপুর ও বাগমারা ছাড়া সবকটির নির্মাণ চলমান রয়েছে। এসব মসজদিগুলোর ৪৫ থেকে ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজগুলো দ্রুত শেষ করা হবে।
জানা গেছে, রাজশাহীতে ১১টি আধুনিক মডেল মসজিদ হবে। সেই লক্ষে নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে পালনের লক্ষে এসব মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। রাজশাহী জেলায় ১১টির মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে ৯টি ও নগরীতে ২টি। উপজেলা পর্যায়ের সকল মডেল মসজিদ হবে ৩ তলা বিশিষ্ট।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) নগরীর উপশহরের মহানগর মডেল মসজিদের ভেতরে গিয়ে দেখা গেছে, কয়েকজন শ্রমিক কাজ করছেন। শ্রমিকরা জানায়, কাজ শেষ পর্যায়ে। ছোটখাটো বিষয়গুলো দেখা হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যে রাজশাহী গণপূর্ত অধিদফতরকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া নগরীর হেতেম খাঁ বড় মসজিদ ভেঙ্গে সেখানে জেলা মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, জেলা মডেল মসজিদ নির্মাণের জয়গা নিয়ে একটু সমস্যা ছিল। তাতে করে নির্মাণ কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে। এই সমজিদের কাজ পাইলিং পর্যায়ে রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।
জানা গেছে- রাজশাহী গণপূর্ত অধিদফতর-১ পাঁচটি মডেল মসজিদ নির্মাণের কাজ করছে। এর মধ্যে একটি মসজিদের কাজ শেষে উদ্বোধন করা হয়েছে। গত বছরের (২০২১) ১০ জুন নওহাটার পবা মডেল মসজিদের উদ্বোধন হয়। একই দিনে গোদাগাড়ী মডেল মসজিদের উদ্বোধন করা হয়েছে। রীতিমত এই দুই মডেল সমজিদে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন।
গণপূর্ত অধিদফতর-১ এর আওতায় থাকা বাকি মডেল মসজিদগুলোর কাজ চলমান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে বাঘা মডেল মসজিদের কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। দোতালার ছাদ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া চারঘাট মডেল মসজিদের ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আগামি বছরের মে মাসের শেষের দিকে কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এরপরে জুন মাসে উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত সুবিশাল ইসলামিক সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সে নারী ও পুরুষদের পৃথক ওজুর জায়গা। নামাজ আদায়ের সুবিধা, লাইব্রেরি, গবেষণা কেন্দ্র, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, পবিত্র কুরআন হেফজ বিভাগ, শিশু শিক্ষা, মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা, হজ্জযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণ, ইমামদের প্রশিক্ষণ, গণশিক্ষা কেন্দ্র, ইসলামী সংস্কৃতি কেন্দ্র থাকবে।
মডেল মসজিদে নামাজ পড়ার পাশাপাশি জ্ঞানচর্চার সুযোগ-সুবিধা থাকবে। মডেল মসজিদগুলো স্বয়ংসম্পূর্ণ মসজিদ হবে। এটি সরকারের যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত।
গণপূত অধিদফতর-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গোদাগাড়ীর মডেল মসজিদ উদ্বোধন করা হয়েছে। এছাড়া তানোর মডেল মসজিদের কাজ শেষ পর্যায়ে। আগামি জানুয়ারি মাসে তানোর মডেল মসজিদ উদ্বোধনের সম্ভাব্য তারিখ ধরা হয়েছে। সেই হিসেবে বাকি কাজগুলো এগিয়ে চলেছে।
তিনি আরো বলেন, মোহনপুরের মডেল মসজিদটির জায়গার সমস্যা রয়েছে। আশা করছি দ্রুত সমাধান হবে। একই অবস্থা বাগমারার মডেল মসজিদের। সেখানে কাজ শুরু করা যায়নি। পুঠিয়া মডেল মসজিদের কাজ ৪৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।