কয়েক দিন ধরে রাজশাহীতে অনুভূত হচ্ছে শীত। সকালে ঝরছে শিশির। তবে হঠাৎ করেই শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) ভোরে দেখা মিলেছে ঘন কুয়াশার। ভোর থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢেকে ছিল চারপাশ। তবে ৯টার দিকে কুয়াশা সরিয়ে দেয় ঝলমলে রোদ।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, তিন দিন ধরে রাজশাহীতে তাপমাত্রা কমছে। শুক্রবার ভোর ৬টায় রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পাওয়া গেছে ১৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৯টায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে দাঁড়ায় ২২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ২১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগের দিন বুধবার (২৬ অক্টোবর) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হয় ২১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে শুক্রবার সকালে ঘন কুয়াশার কারণে রাজশাহীর রাস্তায় যানবাহন চলতে দেখা গেছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। ট্রেনও চলেছে একইভাবে। হালকা শীতের কারণে গায়ে গামছা জড়িয়ে কাজের উদ্দেশ্যে ছুটে যেতে দেখা গেছে শ্রমজীবী মানুষকে। ভোররাত থেকে শীত অনুভূত হওয়ায় কম্বলমুড়ি দিয়ে ঘুমাচ্ছেন অনেকেই। বৈদ্যুতিক পাখার ব্যবহারও কমেছে।
রাজশাহী বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রাজশাহীতে হঠাৎ করেই আজ (বৃহস্পতিবার) ঘন কুয়াশার দেখা মিলেছে। এই কুয়াশার দৃষ্টিসীমা ছিল মাত্র ২০০ মিটার। কয়েক দিন ধরেই রাজশাহীর তাপমাত্রা কমছে। রোজই ভোরে হালকা কুয়াশা পড়ছে। এর মধ্যে মাঝারি ধরনের কুয়াশা দেখা না গেলেও শুক্রবার সকালে হঠাৎ ঘন কুয়াশায় প্রকৃতি ঢেকে যেতে দেখা গেল।’
তিনি বলেন, এই কুয়াশা শীতের আগমনী বার্তা। আগামী দু-এক দিনের মধ্যে বৃষ্টি না হলে আবারও ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাবে রাজশাহী। দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ব্যবধানও কমে আসবে বলে জানান এই আবহাওয়াবিদ।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই রাজশাহীর তাপমাত্রা একটু একটু করে কমছে। রোজই ভোরে হালকা কুয়াশা পড়ছে। এটাই প্রমাণ করছে শীত দুয়ারে কড়া নাড়ছে। এখন ধীরে ধীরে শীত এগিয়ে আসবে। প্রতিদিনই তাপমাত্রা কমবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ব্যবধানও কমে আসবে। তখন শীত অনুভূত হবে বেশি।