ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বৃহস্পতিবার সেমিফাইনালে মাঠে নামবে ভারত। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচ নিয়ে পরিকল্পনা সাজিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। দলে একাধিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠলেও একাধিক ক্রিকেটারের পারফরম্যান্স নিয়ে মোটেও খুশি নয় বোর্ড। এ কারণে সেমিফাইনালে একাদশে পরিবর্তন আনা হতে পারে।
বাদ পড়ার তালিকায় থাকতে পারেন অধিনায়ক রোহিত শর্মাও। বিশ্বকাপে রান খরা যাচ্ছে তার। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪, দক্ষিণ আফ্রিকার ১৫, বাংলাদেশের বিপক্ষে ২ এবং জ়িম্বাবুয়ের ১৫ রান করেছেন রোহিত। রান পাচ্ছেন না হার্দিক পান্ডিয়াও। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪০ রান বাদ দিলে এখনো পর্যন্ত তার অবদান মোট ২৫ রান।
প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স করতে পারছে না ভারতের ওপেনিং জুটিও। রোহিত বা লোকেশ রাহুলের একজন প্রতি ম্যাচেই সাজঘরে ফিরেছেন প্রথম পাঁচ ওভারের মধ্যেই। অর্থাৎ পাওয়ার প্লের সুবিধা ঠিকমতো কাজেই লাগাতে পারছে না ভারত।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, হার্দিক ছাড়া আর এক অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেলও প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ। তার ব্যাটে রান নেই। বল হাতেও রান দিচ্ছেন বেশি। স্পিনারদের পারফরম্যান্স নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
গ্রুপপর্বের পরিকল্পনার সঙ্গে নকআউট পর্বের পরিকল্পনার অনেক পার্থক্য দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন দ্রাবিড়।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের পর দ্রাবিড় বলেছেন, আমি সবসময় খোলা মনে চিন্তা করি। দলের ১৫ জনই আমার কাছে সমান। বিশ্বাস করি, যথেষ্ট যোগ্যতা রয়েছে বলেই এই ১৫ জন বিশ্বকাপের দলে রয়েছেন। যে কোনো ১১ জনকে নিয়ে দল তৈরি করা যেতে পারে। তাতে আমাদের শক্তির কোনো পার্থক্য হবে না। দলের সবার পারফরম্যান্সের ওপরে নজর রয়েছে আমার। অ্যাডিলেডে খেলা বেশ কিছু ম্যাচের ভিডিও দেখেছি। ওখানকার উইকেট একটু মন্থর। বল একটু থমকে ব্যাটে আসে। উইকেটে স্পিনও আছে। আমাদের অবশ্যই নির্দিষ্ট কিছু পরিকল্পনা থাকবে।
সেমিফাইনালের প্রথম একাদশে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেছেন, আমরা হয়তো ১০ নভেম্বর অ্যাডিলেডে অন্যরকম দল নিয়ে খেলব। সত্যি বলতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটায় আমাদের স্পিন আক্রমণ কার্যকর হয়নি। তা ছাড়া এবার অন্য উইকেটে খেলতে হবে। সেই মতো পরিকল্পনা করতে হবে। বাংলাদেশের বিপক্ষে অ্যাডিলেডের যে উইকেটে খেলেছিলাম, সেমিফাইনাল সেই উইকেটে হবে না। কী হতে পারে তা ভেবে আমি কি হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারি?
যুগান্তর