মুম্বাই শহরের একঝলক ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়ে একটি ভিডিওর ক্যাপশনে প্রিয়াঙ্কা লিখেছেন, ‘মুম্বাই ভ্রমণ শেষ হলো। ঘরে ফেরার মতো আনন্দ আর কিছুতে নেই। গত কয়েক দিনে আমি শুধু ভালোবাসা আর সহযোগিতাই পেয়ে এসেছি। সবকিছু দেখে আমি সত্যিই অভিভূত। অত্যন্ত জোরের সঙ্গে বলতে পারি যে আপনারা আমার টিমের সঙ্গে না থাকলে, আমি যে কোথায় থাকতাম, আমার নিজেরই জানা নেই।’ ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা ভিডিওতে তিনি বলেছেন, ‘নিজের ঘরে থাকা দারুণ ব্যাপার। বাবুলনাথ, চার্জগেট দেখে দারুণ লেগেছে।’
নিজের প্রিয় শহর মুম্বাই নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে প্রিয়াঙ্কা বলেছেন, ‘প্রিয় খাবার, মানুষ, পরিবার, বন্ধুবান্ধবদের আবার ফিরে পেয়েছি। এই প্রথম মুম্বাইয়ে এসে হোটেলে উঠেছি। আমি রুম সার্ভিসে অর্ডার পর্যন্ত দিইনি। এই শহরের প্রাণকে মিস করছিলাম। মুম্বাই আমার জীবন বদলে দিয়েছে। আমি আজ যে উচ্চতায় পৌঁছেছি, তার পেছনে এ শহর আছে। এ শহর সব সময় আমার নিজের বাড়ি হয়েই থাকবে।’
প্রিয়াঙ্কা তাঁর হেয়ার কেয়ার ব্র্যান্ডের প্রচারণার জন্য ভারতে এসেছেন। কোভিড–১৯-এর পর এই প্রথম দেশে এলেন তিনি। ছায়াছবি বা বাণিজ্যিক জগৎ, সব ক্ষেত্রে সফল এই নায়িকা। তাঁকে ‘সিটাডেল’ আর ‘ইটস অল কামিং ব্যাক টু মি’—এ দুই হলিউড প্রকল্পে দেখা যাবে। এ ছাড়া ‘জি লে জরা’ ছবিতে আছেন তিনি। ফারহান আখতারের ছবিটিতে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ছাড়া আলিয়া ভাট, ক্যাটরিনা কাইফ আছেন। তিন মেয়ের পথ ভ্রমণ নিয়ে এই ছবির গল্প। ‘জি লে জরা’র শুটিং প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমাকে এখনই কিছু জিজ্ঞাসা করবেন না। আমি আমার বন্ধুদের সঙ্গে ছবির শুটিং করব। তবে এটা কখনোই কাজ নয়, সবাই মিলে মজা করব। আশা করি, আগামী বছর শুটিং শুরু হবে।’
প্রথম আলো