ঢাকামঙ্গলবার , ১৫ নভেম্বর ২০২২

রাজশাহীতে তিনদিনে তাপমাত্রা কমেছে ৪ ডিগ্রি

নভেম্বর ১৫, ২০২২ ১২:৪৯ অপরাহ্ণ । ১২৩ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক:


রাজশাহীতে বাড়েছে শীত। প্রতিদিনই কমছে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সেই সাথে বাড়ছে শীতের তীব্রতা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এদিকে শীত বাড়তে থাকায় বেড়েছে গরম পোশাকের চাহিদা। নগরীর বাজারে গরম পোশাক বিক্রি বেড়েছে। কমতি নেয় নিম্ন আয়ে মানুষগুলোর ভরসা ফুটপাতেও। ফুটপাতগুলোতে বিক্রি বেড়েছে শিশু ও বড়দের জ্যাকেট, শোয়েটার, চাদরের।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিস বলছে- সোমবার (১৪ নভেম্বর) রাজশাহীতে সর্বনি তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগের দিন ছিল ১৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বশেষ শনিবার (১২ নভেম্বর) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি।

তাতে বোঝা যাচ্ছে দিন দিন রাজশাহীতে তাপমাত্রা কমছে। গত তিনদিনের হিসেবে রাজশাহীতে তাপমাত্রা কমেছে ৪ ডিগ্রি। অন্যদিকে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গেল তিনদিনে কমেছে দশমিক ৫ ডিগ্রি। তাতে বোঝা যাচ্ছে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমেছে। সোমবার (১৪ নভেম্বর) রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগের দিন রোববার (১৩ নভেম্বর) ছিল ২৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও সর্বশেষ শনিবার (১২ নভেম্বর) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মহানগরীর গণকপাড়া, শিরোইল, গোরহাঙ্গা, রেলগেটের ফুটপাতে বসেছে শীতের পোশাকের দোকান। শীতের পোশাক কিনতে এসেছিলেন সাইদুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘শীত বাড়ছে। তবে হালকা শীত। এই শীতেই বেশি মানুষ অসুস্থ্য হয়। তাই শীতকে অবহেলা করা যাবে না। সন্তানদের জন্য পোশাক কিনছি। এখন শীতের শুরু সময়; তাই বিক্রেতারা দাম কমাচ্ছেন না। বড়দের চেয়ে শিশুদের পোষাকের দাম বেশি চাচ্ছে।

গরম কাপড় ব্যবসায়ী শরীফুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন ধরে ঠান্ডা বেশি পড়ছে। বেচাকেনা কিছুটা বেশ ভালো হচ্ছে। শীত বাড়লে বিক্রি বাড়ে। অনেকে ঘুরে যাচ্ছে দাম বেশি বলে কিন্তু আমাদের কিছুই করা নেই। সবুকিছুর দাম বেশি; আমরা সামান্য খুচরা ব্যবসায়ী। আমরা যে দামে কিনি সেখান থেকে কিছু লাভ করে বিক্রি করি।

ফুটপাতের ব্যবসায়ী সিহাব বলেন, সারাবছরে শীতের সময় ব্যবসা হয়। শীত এলেই ভালো ব্যবসা হয়। মোটা ফুলহাতা গেঞ্জি, জ্যাকেট, শোয়েটার, হুডির চাহিদা বেশি। এছাড়া শিশুদের পায়জামা ৫০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত এবং শিশুদের মোটা কাপড়ের গেঞ্জির দাম ৩৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত রয়েছে। টুপি ৫০-১০০ টাকা, শিশুদের হাতমোজা ৫০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক রেজওয়ান জানান, কার্তিক মাসের শেষ পর্যায়। প্রতিদিন সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমছে। সেই সঙ্গে কুয়াশাও পড়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে দৃষ্টিসীমা ৩৫০০ থেকে ৪ হাজার। এছাড়া আকাশে মেঘ নেই; বৃষ্টিপাতেরও সম্ভাবনা নেই। তবে শীত বাড়তে পারে।

Paris
Paris