মুসলিম প্রধান দেশ কাতারে সমকামিতার কোনো স্থান নেই। তারাই কিনা আবার ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক।
বিষয়টি মানতে পারেনি জার্মানি ফুটবল দল। তাই বিশ্বকাপে প্রতিবাদ জানাতে ‘ওয়ান লাভ’ আর্মব্যান্ড পরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা। কিন্তু ফিফার নিষেধাজ্ঞার হুমকির পর সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে জার্মানিসহ ইউরোপের সাতটি দেশ।
তবে জাপানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে টিম ফটোশুটে মুখ ঢেকে এর প্রতিবাদ জানায় জার্মানি। কিন্তু কাতারি সমর্থকদের কাছে তা কেবলই ‘ভণ্ডামি’ মনে হয়েছে। সেই ভণ্ডামির জবাব দেওয়ার জন্য স্পেন-জার্মানির ম্যাচটি বেছে নেয় তারা। টেনে আনে সাবেক জার্মান মিডফিল্ডার মেসুত ওজিলের অতীত। আল বায়িত স্টেডিয়ামে ম্যাচ চলাকালীন সময়ে অনেকেই মুখ ঢেকে কাগজে স্কেচ করে বানানো ওজিলের ছবি প্রদর্শন করেন।
জার্মানির হয়ে বিশ্বকাপ জিতলেও শেষটা সুন্দর হয়নি ওজিলের। ২০১৮ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে জার্মানি বাদ পড়েছিল জার্মানরা। দুঃস্বপ্নের এই আসরের পর আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানান ওজিল। দলের বাজে পারফরম্যান্সের কারণে তৎকালীন জার্মান ফুটবল ফেডারেশনে প্রেসিডেন্ট রেইনার্দ গ্রিনদেল ও স্পোর্টিং ডিরেক্টর ওলিভার বিয়েরফ মিলে ‘বলির পাঠা’ বানিয়েছেন তুর্কি বংশোদ্ভুত মিডফিল্ডারকে। এমনটাই দাবি করেন তিনি।
শুধু তা-ই নয় জার্মানির জার্সি গায়ে বেশ কয়েকবার বর্ণবাদের শিকার হয়েছে ওজিল। এক বিবৃতিতে ইস্তাম্বুল বাসাকশাহিরের হয়ে খেলা ওজিল বলেছিলেন, ‘যখন আমি জিতি তখন আমি জার্মান, আর হেরে গেলে তখন শরণার্থী হয়ে যাই। ’
কাতারের প্রতিক্রিয়ার বিপরীতে এখনও কিছু করেনি জার্মানি। তবে দিনকে দিন নতুন বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে তারা। স্পেনের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে আসেননি কোনো ফুটবলার। যার ফলে ফিফার আইন ভঙ্গ করেছে তারা। যদিও কোচ হান্সি ফ্লিকের দাবি, অনুশীলনে মনোযোগ দিতেই এই সিদ্ধান্ত।
বাংলানিউজ
