নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী নগরীতে নাশকতার মামলায় গ্রেফতার হয়েছে শাহমখদুম থানার নায়েবে আমির-সহ জামায়াত-শিবিরের ৬ জন সদস্য। আরএমপি’র বোয়ালিয়া মডেল থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ নগরীর বিভিন্ন স্থানে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, রাজশাহী নগরীর শাহমখদুম থানার নায়েবে আমির বড়বনগ্রাম শেখপাড়ার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মো: হাফিজুর রহমান (৬০), মো: মুনসুর রহমানের ছেলে মো: ইদুল হোসেন (৪৫), মো: আকতার উদ্দিনের ছেলে আবু হেনা মো: আহসান উদ্দিন (৩৮), বোয়ালিয়া মডেল থানার কয়েরদাড়া বিলপাড়ার মনতাজ আলীর ছেলে মো: শিমুল (২৬), পাঠানপাড়ার মো: আব্দুল ওহাবের ছেলে মো: বাকী বিল্লাহ (৫৭) ও রাজপাড়া থানার নতুন বিলসিমলা বন্ধগেট পূর্বপাড়ার মো: আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মো: হোসাইন রিফাত (২১)।
আজ বুধবার আরএমপির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ১৩ ডিসেম্বর দুপুরে বোয়ালিয়া থানার এসআই মো: আরিফুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স-সহ থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান ডিউটি করছিল। এসময় তিনি জানতে পারেন যে, বোয়ালিয়া থানার উপশহর চার রাস্তার মোড়ে জামায়াত-শিবিরের কিছু নেতা কর্মী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল, নাশকতামুলক কর্মকান্ড, সরকারী সম্পত্তি ধ্বংস করার লক্ষ্যে একত্রিত হয়েছে।
উক্ত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে এসআই মো: আরিফুল ইসলাম উপ-শহরে মোড়ে গিয়ে দেখতে পান, জামায়াত-শিবিরের নেতৃবৃন্দ সন্ত্রাসমূলক কর্মকান্ড ঘটানোর জন্য কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করছে। বিষয়টি তিনি তাৎক্ষণিক বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে থানাকে অবগত করেন। উক্ত সংবাদ পেয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ-সহ আশপাশের টহল ডিউটিতে থাকা পুলিশের বিভিন্ন টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে লাঠি ও ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে। তাদের আক্রমণে দুইজন পুলিশ সদস্য গুরুত্বর আহত হয়। পুলিশ তাদের ধাওয়া করলে তারা বিভিন্ন দিকে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে জামায়াত-শিবির সদস্যদের ফেলে যাওয়া জামায়াতে ইসলামী সংগঠনের জিহাদী বই, ব্যানার উদ্ধার হয়। উক্ত ঘটনায় বোয়ালিয়া মডেল থানা সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা রুজ হয়।
মামলা পরবর্তীতে আজ বুধবার (১৪ ডিসেম্বর ) রাতে বোয়ালিয়া মডেল থানা-সহ আশেপাশের এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে শাহমখদুম থানার নায়েবে আমির-সহ জামায়াত-শিবিরের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।