গত দু’তিন দিন ধরে রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। রয়েছে কুয়াশার দাপট। সেই সঙ্গে কমেছে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্যও।
এদিকে সোমবার, মঙ্গলবারের পর আজও ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে পদ্মা পাড়ের রাজশাহী। সঙ্গে বয়ে চলা উত্তরের হিমেল হাওয়া শরীরে কাঁটা দিচ্ছে শীতার্ত মানুষের শরীরে। যতই দিন যাচ্ছে তাপমাত্রার পারদের ওঠানামা ততই যেন বেসামাল হয়ে পড়ছে। তবে এই ঘন কুয়াশা কেটে গেলে কামড় বসাবে শীত। বাড়বে জনদুর্ভোগ। এমনটাই পূর্বাভাস দিচ্ছে রাজশাহীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন জানান, আজ বুধবার (৪ জানুয়ারি) ভোর ৬টা ৪৯ মিনিটে রাজশাহীতে সূর্যোদয় হয়েছে। তবে ঘন কুয়াশার চাদরে মুড়ি দিয়ে আছে পুরো রাজশাহী। আর এই কারণেই বেড়েছে শীতের দাপট। ভোর ৬টায় রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরো পড়ুন,,, ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন রাজশাহী, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৫
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মূলত এ বছরে রাজশাহীর তাপমাত্রা এখনও ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরেই রয়েছে। এর আগের গত ২৯ ডিসেম্বর রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা রাজশাহীতে চলতি মৌসুমের এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন রেকর্ডকৃত তাপমাত্রা। এরপর তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে ওঠানামা করলেও আর এত নিচে আর নামেনি।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, মূলত ঘন কুয়াশা এবং ঠান্ডা বাতাসের কারণেই রাজশাহীতে তীব্র শীতে অনুভূত হচ্ছে। কিন্তু রাজশাহীর ওপর দিয়ে কোনো শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে না। আর কোনো কোনো সময় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রার ব্যবধান কমে যাচ্ছে। তখন শীত আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে। যে কারণে অনেকেই ভাবছেন রাজশাহীতে হয়তো শৈত্যপ্রবাহ বইছে। মূলত এই কুয়াশা কেটে গেলেই শৈত্যপ্রবাহ শুরু হবে। তখন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আবারও এক অংকে নেমে আসার আশঙ্কা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন-আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের এই কর্মকর্তা।
এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনাতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সঙ্গে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার দূরত্ব কমে গেছে। যার ফলে এই তিন বিভাগে শীত আরও বেশি প্রকট হচ্ছে। এমনকি দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়ায় তীব্র শীতের অনুভূতি আরও দুই থেকে তিনি দিন অব্যাহত থাকবে বলে বুধবার (৪ জানুয়ারি) পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।