খালিজ টামস সূত্রে জানা যায়, ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে পাকিস্তানের লাহোর থেকে বাইকার দলটি যাত্রা শুরু করে। তাঁরা তাফতান সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ইরানে প্রবেশ করেন। এরপর বন্দর আব্বাস হয়ে ফেরি করে শারজায় যায় কাফেলা। এখন পর্যন্ত তারা দুই হাজার পাঁচ শ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয় এই ওমরাহ কাফেলা।
২০১৯ সালে প্রথম বার ওমরাহ যাত্রার পরিকল্পনা করে বাইকার দলটি। কিন্তু বৈশ্বিক বিধি-নিষেধের কারণে এই ভ্রমণ সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে তারিন দলের সবাইকে ওমরাহ ভ্রমণের জন্য আশ্বস্ত করে। এক পর্যায়ে সবাই প্রস্তুতি নিয়ে দুর্দান্ত ভ্রমণ শুরু করে। ওমরাহযাত্রী তারিন বলেন, ‘যাত্রা শুরুর ছয় মাস আগ থেকে আমরা প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করি। যেসব দেশ ভ্রমণ করব আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করি। এরপর রুট ম্যাপ তৈরি করে দুই মাসের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করি।’
তারিন আরো বলেন, ‘ভ্রমণ শুরুর আগে ছয় মাস ধরে আমরা শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিই। প্রতিদিন আমরা কমপক্ষে চার শ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করি। সূর্যাস্তের আগেই নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছার চেষ্টা করতাম। বর্তমানে আমরা শারজায় অবস্থান করছি। আশাকরি, আগামী ১০ দিনের মধ্যে আমরা মক্কায় প্রবেশ করব।’ পাকিস্তান থেকে ইরান, ইরাক, আমিরাত, জর্ডান, সৌদিসহ ছয়টি দেশে পাড়ি দিয়ে ৬০ দিনে ১৪ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন তারা।
ভ্রমণপথে অভিজ্ঞতা সুস্থ জীবন যাপনে সাহায্য করে বলে মনে করেন বাইকার দল। বাইকার তারিন বলেন, ‘বাইক চালানো আমার খুবই পছন্দের কাজ। এর মাধ্যেমে দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা লাভ করি। এর মাধ্যমে বিভিন্ন স্থান সম্পর্কে নতুন নতুন জ্ঞান লাভ করি। তবে এর আগে নিজের মধ্যে একাগ্রতা ও নিরাপত্তাবোধ তৈরি করতে হবে। এরপর বাইক চালাতে হবে। ইবনে বতুতা বলেন, ভ্রমণ প্রথমে আপনাকে বাকরুদ্ধ করবে, এরপর গল্পকারে পরিণত করবে। ভ্রমণ করার সময় দেখা সংস্কৃতি, মানুষ ও খাবার নিয়ে আমাদের হাজার হাজার গল্প আছে। আমরা সমৃদ্ধ হয়ে আমাদের শহরে পৌঁছব।’
সূত্র : খালিজ টাইমস