মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সহধর্মিনী জাহানারা জামানের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
২০১৭ সালের এই দিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে ৮৪ বছর বয়সে ঢাকার গুলশানে নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেন তিনি। জাহানারা জামানের স্বামী রাজশাহীর কৃতী সন্তান এএইচএম কামারুজ্জামান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এবং জনপ্রিয় নেতা ছিলেন।
একাত্তরে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানে বন্দি থাকা অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিবনগরে গঠিত বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। ওই সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামান স্বরাষ্ট্র, ত্রান ও পুনর্বাসন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ তাদের স্মরণ করে ‘চার জাতীয় নেতা’ হিসেবে।
জাহানারা জামান বগুড়া জেলার দুপচাচিয়া উপজেলার চামরুল গ্রামের প্রখ্যাত জোতদার আশরাফ উদ্দিন তালুদকারের জ্যেষ্ঠ কন্যা। ১৯৫১ সালে এএইচএম কামারুজ্জামানের সাথে তিনি বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন। এএইচএম কামারুজ্জামান ও জাহানারা জামান ছয় সন্তানের জনক জননী। দুই ছেলে ও চার মেয়ে। বড় ছেলে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ( জন্ম ১৯৫৯) রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সফল মেয়র। তিনি রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি। ছোট ছেলে এহসানুজ্জামান স্বপন (১৯৬১) মাল্টিনেশন কম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। চার মেয়ে যথাক্রমে ফেরদৌস মমতাজ পলি (জন্ম ১৯৫৩), দিলারা জুম্মা রিয়া (জন্ম ১৯৫৫), রওশন আক্তার রুমী (জন্ম ১৯৫৭) এবং কবিতা সুলতানা চুমকি (জন্ম ১৯৬৪)।
১৯৭০ সালে রাজশাহী থেকে সাপ্তাহিক ‘সোনার দেশ’ পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এই সাপ্তাহিক পত্রিকাটির শিরোনামের নিচে লেখা হতো ‘গণতান্ত্রিক জীবনবোধের মূল্যায়ণ সাধনায় নিয়োজিত প্রগতিশীল সাপ্তাহিক মূখপত্র’। এই পত্রিকাটির প্রকাশক ছিলেন জাহানারা জামান। তিনিই কোনো সাপ্তাহিক পত্রিকার প্রথম নারী প্রকাশক। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনারা পত্রিকা অফিস ধ্বংস করে দেয়। জাহানারা জামানের নামে বগুড়ায় ‘জাহানারা কামারুজ্জামান কলেজ’ রয়েছে।- সোনার দেশ