প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বৃহত্তর বিনিয়োগের জন্য জাপানী বিনিয়োগকারীদের প্রতি আ্হ্বান জানিয়েছেন।
জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশনের (জেবিআইসি) গভর্নর নবুমিতশু হায়াশি আজ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তাঁর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিস রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ জাপানের বিশ^স্ত অংশীদার এবং জাপানের জনগণ ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাপান এখনও আমাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে আমি বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে জাপানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
এ প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, জাপানী সহায়তায় বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে রয়েছে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, যমুনা নদীতে বঙ্গবন্ধু রেল সেতু এবং মেট্রো রেল প্রকল্প।
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো জোরদার হবে।’
জেবিআইসি গভর্ণর বলেন, জাপান বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার এবং এ দেশের উন্নয়নের পথে আরো অবদান রাখার অঙ্গীকার করেন।
এছাড়া তিনি বাংলাদেশের চিনি, প্রিপেইড গ্যাস মিটার উৎপাদনকারী শিল্প এবং বায়োমাস বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগে জাপানের আগ্রহের কথা তুলে ধরেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব প্রস্তাবের প্রশংসা করে বলেন, প্রিপেইড গ্যাস মিটার উৎপাদনকারী শিল্প যৌথ উদ্যোগে স্থাপন করা যেতে পারে।
সরকার প্রধান ১৫টির মধ্যে রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত একটি কিংবা দ’ুটি চিনিকল জাপানী বিনিয়োগকারীদের কাছে হস্তান্তরেরও প্রস্তাব করেন।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং বাংলাদেশে জাপানী রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন।
বাসস