রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম চূড়ান্ত করেছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। রবিবার সকালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে আওয়ামী লীগ তাঁর নাম জমা দেয়। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।
জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার কারণে এ দলের পক্ষ থেকে যাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, তিনিই একক প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন।গত ৭ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভা থেকে রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত করতে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সংসদের বিরোধী দল এ নির্বাচনে প্রার্থী দিচ্ছে না।
সংবিধানের ১২তম সংশোধনীর মাধ্যমে দেশে সংসদীয় সরকারব্যবস্থা চালু হওয়ার পর শুধু ১৯৯১ সালেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা ভোট গ্রহণ করা হয়। ওই সময় সংসদে ক্ষমতাসীন বিএনপির সংসদ সদস্য ছিলেন ১৪০ জন। অন্য সংসদ সদস্যরা ছিলেন আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও অন্য সাতটি দলের। সে কারণে ভোট গ্রহণ করার প্রয়োজন হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করার প্রয়োজন হয়নি।রাষ্ট্রপতি নির্বাচন বিধিমালা অনুসারে প্রার্থীর নাম, প্রার্থীর পিতা বা স্বামীর নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে একজন সংসদ সদস্য মনোনয়নপত্রের প্রস্তাবক হবেন। প্রস্তাবের সমর্থক হিসেবেও একজন সংসদ সদস্যের সই লাগবে। এ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রস্তাবক হতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। এ ছাড়া প্রার্থী নিজে তাঁর নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে ‘সংবিধান ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী আমি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার অযোগ্য নই’—এই ঘোষণায় সই করবেন।- কালের কণ্ঠ