ঢাকারবিবার , ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

‘ফরজি’ ধামাকা নিয়ে আসছেন শাহিদ কাপুর

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৩ ১:০২ অপরাহ্ণ । ১০৮ জন

রাজ ও ডিকে জুটির ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’ওয়েব সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব মুক্তি পাওয়ার পর প্রায় দুই বছরের বিরতি।
এই জুটি পর্দায় পরবর্তী কোন ধামাকা নিয়ে আসছেন, তার জন্য অধীর অপেক্ষায় দিন গুনছিলেন দর্শক।
সুমন কুমার ও সীতা আর মেননের হাত ধরে ‘ফরজি’ ওয়েব সিরিজের চিত্রনাট্য নির্মাণ করেছেন রাজ এবং ডিকে। প্রথমত শাহিদ কাপুরকে এই প্রথমবার কোনো ওয়েব সিরিজে অভিনয় করতে দেখা গেছে। আবার উপরি পাওনা হিসাবে রয়েছেন দক্ষিণী অভিনেতা বিজয় সেতুপতি এবং বলিউডের দক্ষ অভিনেতা কেকে মেনন।

‘ফরজি’ ওয়েব সিরিজের গল্পের সূত্রপাত হয় একটি পত্রিকাকে ঘিরে। ক্রান্তি পত্রিকা—সানির (শাহিদ কাপুর) দাদুর সারা জীবনের স্বপ্ন। এই পত্রিকা পড়ে দেশের যুবক-যুবতীর চিন্তাধারার মধ্যে পরিবর্তন আসবে, এই ছিল সানির দাদুর ইচ্ছা। কিন্তু প্রেস চালানোর জন্য টাকা ধার নিতে নিতে ঋণের ভারে জর্জরিত হয়ে পড়েছিলেন তিনি।

ফলে প্রেস বন্ধ হয়ে যাওয়ার জোগাড়। আর দাদুর ভালোবাসার প্রেসকে বাঁচানোর জন্য শুরু হয় লড়াই। যেখানে রয়েছে দুই বন্ধুর নিখাদ সম্পর্ক, জাল নোট কারবারির খুঁটিনাটি, প্রেম, বিচ্ছেদ ইত্যাদি ইত্যাদি। সানি এবং ফিরোজের বন্ধুত্ব অনেক সময় ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’-এর তিওয়ারি এবং তালপাড়ের বন্ধুত্ব মনে করিয়ে দিয়েছে।

সানি পেশায় একজন শিল্পী। আঁকার হাত দুর্দান্ত তার। বিশ্বের বড় বড় শিল্পীর আঁকা হুবহু ক্যানভাসের সাদা পাতায় ফুটিয়ে তোলার ক্ষমতা রয়েছে সানির। ৫ মিনিটে কোনো মানুষের মুখের আদলও স্কেচ করে দিতে পারে অবিকল। তবু অর্থাভাব। প্রেম দরজায় টোকা দিয়েও ফিরে যায় এ কারণে।

দাদুর প্রেসেও যখন বেহাল দশা, তখন যেন সম্বিৎ ফেরে সানির। নতুন বছর উদযাপনের রাতে ছোটবেলার বন্ধুকে জড়িয়ে যেন নিজের জীবনকে অন্যভাবে চালিত করার জোর পায় সানি। তার পর থেকেই কাহিনীর মোড় ঘুরতে থাকে। একে একে গল্পে ভিড় জমাতে থাকে চরিত্রেরা।

দাদুর প্রেসকে বাঁচাতে নিজের প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে ছোট প্রেসে অত্যাধুনিক যন্ত্রের সাহায্য ছাড়াই দুটো ‘স্যান্ডউইচ নোট’ তৈরি করে সানি এবং তার বন্ধু ফিরোজ (ভুবন অরোরা)।

সেই জাল নোট তৈরি করে অর্থ উপার্জনও করতে শুরু করে সানি। কিন্তু প্রয়োজন মিটলেও মানুষের খিদে মেটে কি? অর্থের লোভ আর পিছু ছাড়েনি সানির। ক্রমশ অন্ধকারের মধ্যে ডুবে গিয়েছে সে। কিন্তু সানি একা ছিল না। সানির হাত শক্ত করে ধরেছিল ফিরোজ। সানি এবং ফিরোজের বন্ধুত্ব অনেক সময় ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’-এর তিওয়ারি এবং তালপাড়ের বন্ধুত্ব মনে করিয়ে দিয়েছে।

দক্ষিণী ভাষার ছবিতে সাবলীল অভিনয় করলেও এই ওয়েব সিরিজে যেন হিন্দি সংলাপই বিজয় থেলাপতির ক্ষেত্রে কাল হয়ে দাঁড়াল।

স্পেশাল টাস্কফোর্স অফিসার মাইকেল বেদনায়গমের চরিত্রে বিজয় সেতুপতির অভিনয়ও কম নজরকাড়া নয়। এই প্রথম হিন্দি ভাষায় সংলাপ বসল বিজয়ের মুখে।

দক্ষিণী ভাষার ছবিতে সাবলীল অভিনয় করলেও এই ওয়েব সিরিজে যেন হিন্দি সংলাপই বিজয়ের ক্ষেত্রে কাল হয়ে দাঁড়াল।

গ্যাংস্টার মনসুর দালালের চরিত্রে কেকে মেননের অভিনয় অনবদ্য। এই ওয়েব সিরিজে সানির দাদুর চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেছে অমল পালেকরকে।

কিছু কিছু দৃশ্যে তার অভিনয় সামান্য অতিরঞ্জিত লাগতে পারে। এ ছাড়া ইয়াসিরের চরিত্রে চিত্তরঞ্জন গিরি, মন্ত্রীর চরিত্রে জাকির হুসেন, মাইকেলের স্ত্রী রেখার চরিত্রে রেজিনা কাসান্দ্রা এবং মেঘার চরিত্রে রাশি খন্নার অভিনয় যথাযথ।-যুগান্তর