ঋতুরাজ বসন্ত এসে গেছে। আর তাই দোলা দিচ্ছে মন। সেই সঙ্গে প্রকৃতিও যেন সেজেছে নতুন সাজে। বাহারি ফুল ফুটেছে গাছে গাছে। সারি সারি ফুলের সমারোহে দোল খাচ্ছে গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধাসহ বাহারি ফুল।নার্সারি ও ফুলের দোকানে শোভা পাচ্ছে বাহারি রংয়ের এসব মন মুগ্ধকর ফুল।
ফুল চাষিরা জানালেন, ভোলাতে বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ হয় না, যেগুলো পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো যশোর থেকে আনা হয়। আর তাই ফুলের দাম কিছুটা চড়া। তবে ফুলের নার্সারিতে পর্যাপ্ত ফুল পাওয়া যাচ্ছে।
আগামীকাল (মঙ্গলবার) বসন্ত ও ভালোবাসা দিবস। এই দুটি দিবস এবার এক সঙ্গে উদযাপিত হবে। এ কারণে বেড়েছে ফুলের কদর। তাই ফুলের দোকানে দেখা গেছে তরুণ-তরুণীদের ভিড়।
প্রিয়জনদের ফুল উপহার দিতে ভিড় করছেন তারা। তবে এ বছর ফুলের দাম অনেক বেশি হলেও ফুলকে ভালোবেসে চড়া দাম দিয়েই কিনতে হচ্ছে তাদের।
অন্যদিকে নার্সারিগুলোতেও দেখা গেছে বাহারি ফুলের সমারোহ। শেষ মুহূর্তে তাদের প্রস্তুতি চলছে। ফুলকে তরতাজা রাখতে পরিচর্যায় ব্যস্ত শ্রমিকরা।
সদরের বেপারি দোবাল এলাকার আহসান নার্সারির শ্রমিক জানালেন, ভালোবাসা দিবসে ফুলের চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি। তারা কয়েকদিন আগে থেকেই ফুলের পরিচর্যা করছেন। এখনও চলছে সেই পরিচর্যা।
নার্সারি মালিকরা জানালেন, দ্বীপজেলা ভোলায় বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ হয় না, তবে অর্ধ-শতাধিক নার্সারি রয়েছে যেখানে দেখা মেলে বাহারি আকারের ফুল। যাদের মধ্যে গোলাপ, রজনীগন্ধা আর গাঁদা ফুলের ভালোবাসায় মুগ্ধ ক্রেতারা।
এসব ফুলের চাহিদা থাকায় আগাম ফুল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন তারা। বছরের অন্য সময়ের তুলনায় বসন্ত ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ফুলের কেনাবেচা জমে ওঠে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তাই ফুলের দোকান বা নার্সারিতে ভিড় বাড়ছে তরুণ-তরুণীদের। ফুল কিনতে পেরে খুশি তারা।
প্রিয়াঙ্কা বনিক বলেন, বিশেষ দিনে প্রিয়জনকে ফুল দিতে দোকানে এসেছি ফুল কিনেছি। আমার মতো অনেকেই এসেছেন ফুল কিনতে।
আরেক তরুণী সাবরিনা মমতাজ বলেন, ফুল হলো ভালোবাসার প্রতীক। তাই ফুল উপহার হিসেবে দিতে যেমন খুব ভালো লাগে, তেমনি উপহার পেতেও। প্রিয় মানুষকে ফুল উপহার দিতে ফুলের দোকানে আসা।
এদিকে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী সব ধরনের ফুলের পসরা সাজানো হয়েছে দোকানগুলোতে। কেনা-বেচাও বেশি বলে অভিমত বিক্রেতাদের। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে কেনা-বেচার ধুম।
ইভেন ম্যানেজমেন্ট, বিয়ে বাজারের স্বত্বাধিকারী প্রভাষক মনিরুল ইসলাম বলেন, বিগত সময় করোনার কারণে ক্রেতাদের সমাগম হয়নি, কেনাবেচাও হয়নি। তবে এবার ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। আশা করা যায় ফুলের বিক্রি ভালো হবে।
ভোলা নার্সারি মালিক সমিতির সভাপতি হাজী আবুল কাসেম বলেন, এবার ফুলের বিক্রি অনেক বেশি হচ্ছে। ফুল বিক্রির মাধ্যমে বিগত সময়ের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসে লাখ লাখ টাকার ফুল বিক্রির আশা তাদের।