পঞ্জিকায় দিনক্ষণ অনুসারে আনুষ্ঠানিক বসন্ত না আসলেও ইতোমধ্যেই বসন্তের রং লেগেছে চারদিকে। বসন্তের আগমনে নবপত্রপল্লবে শোভিত হয়ে উঠছে বনরাজি, ফুলের বাগান।
সেই ছোঁয়ায় এবার নিজেকে রাঙিয়েছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান।
বাসন্তি রঙে শাড়িতে সামাজিকমাধ্যমে ছবি শেয়ার করেছেন জয়া আহসান। অভিনেত্রীর এই সাজ দেখে অজান্তেই মনে পরে যায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা- ‘বাসন্তী রং শাড়ি পোরো/ খয়ের রঙের টিপ। সাঁঝের বেলায় সাজবে যখন/ জ্বালবে যখন দীপ। ’
বসন্তের ছোঁয়ায় নিজেকে মেলে ধরা জয়া আহসানের ছবিগুলোও যেন অন্তর্জালে ভক্তদের মনে দীপ জ্বালিয়ে দিয়েছে। যার দরুণ অভিনেত্রীর রূপের আলোক রশ্মিতে আলোকিত ভক্ত হৃদয়।
অনেকের ধারণা, দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জয়ার রূপও বেড়ে চলেছে। কেউ কেউ মনে করেন, জয়ার বয়স একটি ঘরেই আটকে আছে। এজন্যই তিনি চিরসবুজ। নতুন এই ছবিগুলোতে চিরতরুণী আবেদনময়ী এক জয়াকে আবিষ্কার করেছেন তার অনুরাগীরা।
দুই বাংলার দর্শকরা এখন জয়াকে চেনেন ‘ডুব সাঁতার’র রেণুকা, ‘গেরিলা’র বিলকিস বানু কিংবা ‘দেবী’র রানু হিসেবে। আবার কেউ কেউ তাকে ‘রাজকাহিনী’র রুবিনা, ‘কণ্ঠ’র রমিলা বা ‘ক্রিসক্রস’র মিসেস সেন বলেও চিহ্নিত করেন। কারণ, চরিত্রগুলো নিজের মধ্যে ধারণ করেছেন এবং অভিজ্ঞতা-ব্যক্তিত্ব দিয়ে প্রাণবন্ত করে তুলেছেন এ অভিনেত্রী।
এদিকে, জয়া আহসান দুই বাংলা পর বলিউডের সিনেমাতেও নাম লিখিয়েছেন। তাকে বলিউডের ‘করক সিং’ নামের সিনেমায় দেখা যাবে। ইতোমধ্যেই সেই সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন এই অভিনেত্রী। সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী।
এ বিষয়ে আরো জানা যায়, সিনেমায় জয়ার সহশিল্পী বলিউডের খ্যাতিমান অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠি, সানজানা সাঙ্ঘি, মালায়লাম অভিনেত্রী পার্বতী থিরুবথু প্রমুখ। চলতি বছরেই সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
অন্যদিকে, অভিনয়ের বাইরে উন্নয়নকর্মী হিসেবেও কাজ করছেন জয়া আহসান। সম্প্রতি এই অভিনেত্রী দ্বিতীয়বারের মতো জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছা দূত নিযুক্ত হয়েছেন। আগামী ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ইউএনডিপির সঙ্গে কাজ করবেন তিনি।
ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত হিসেবে এই দুই বছরে তিনি মূলত, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি-২০৩০ অর্জনে সবার সচেতনতা বাড়াতে কাজ করবেন জয়া আহসান।
বাংলানিউজ