নিজস্ব প্রতিবেদক
ফুলের দাম বেশির বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, দুইটি দিবস একই সাথে হওয়ায় ফুলের চাহিদা বেশি। সরবারহ কিছুটা কম থাকায়। দামটা বেশি। রাজশাহী নগরীর ফুলের দোকানগুলোতে সবচেয়ে বেড়েছে গোলাপের দাম। গোলাপ ছাড়াও অন্য সব ফুলের দামও বেড়েছে।
ফুল কিনতে আসা রাজু বলেন, ফুল শুধু দিয়ে গেলাম। গতকাল দুইটি গোলাপ কিনে রেখেছিলাম। আমি জানি, আজ দাম বেশি হবে। সকালে বড় ভাইয়ের দুই ছেলে-মেয়ে এসে গোলপগুলো নিয়ে গেছে। কি করবো প্রিয় মানুষের সাথে দেখা করবো, ফুল না নিয়ে গেলে মান-সম্মান থাকবে না। তাই একটা গোলাপ কিনলাম। দামের বিষয়ে তিনি বলেন, ভাই গোলাপের দামে আগুন। কাছে যাওয়া যাচ্ছে না। কয়েকদিন আগে ২০টায় যে গোলাপ মানুষ নেয়নি। সেই গোলাপ ১০০ টাকা দাম। কি করব উপায় নেই।
দুপুরে সাহেব বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি ফুল দোকানের সামনেই রয়েছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ-তরুণীরা দরদাম করে পছন্দের ফুল কিনছেন। কেউ কেউ নিজ মাথার মাপ মত বাহারি ফুলের তৈরি করা ‘মুকুট’ (ফ্লাওয়ার রিং) বানিয়ে নিচ্ছেন। এই সব মুকুলগুলো তারা পড়ে ঘুরতে বের হচ্ছেন। এছাড়া নগরীর স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে প্রায় শতাধিক ফুলের দোকানে বিক্রি হচ্ছে ফুল। এরমধ্যে লাল গোলাপ, জারবেরা, রজনীগন্ধা, গাঁদাসহ নানা রঙ ও বর্ণের ফুল রয়েছে। বেশির ভাগ ফুলই আমদানি করা হয়েছে- যশোরের ঝিকড়গাছা থেকে।
অন্যদিকে, ঋতুরাজ বসন্তকে স্বাগত জানিয়ে রাজশাহী কলেজ ক্যাম্পাস থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভা যাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি রাজশাহী মহানগরীর জিরো পয়েন্ট হয়ে আলুপট্টি মোড় প্রদক্ষিণ করে পুনরায় রাজশাহী কলেজে গিয়ে শেষ হয়। বিশাল এই শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন, রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক।
শোভাযাত্রায় বাসন্তী রঙের শাড়ি, কপালে টিপ, হাতে চুড়ি, পায়ে নূপুর, খোপায় ফুল অথবা রিং জড়িয়ে অংশ নেয় তরুণীরা। কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বসন্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বসন্ত আর ভালোবাসা দিবস দুটি মিলে গেছে। বাঙ্গালীর যে সংস্কৃতি তা কাজে লাগিয়ে এবং প্রকৃতির রঙ বদলের সাথে ফুলে ফুলে ছড়িয়ে গেছে ফাগুনের উন্মাদনা। বসন্তের শুভ বার্তা বাংলাদেশর মানুষের জন্যও মঙ্গল বয়ে আসুক এই কামনা করেন তারা।