তুরস্ক এবং সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৪১ হাজার ছাড়িয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানার পর দুই দেশে অসংখ্য বাড়ি ধসে পড়ে। বেশিরভাগ মানুষের মৃত্যু হয়েছে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়ে। তবে ভূমিকম্পের প্রায় আট দিন পরও গতকাল মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) অন্তত ৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছেন উদ্ধারকারীরা।
ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আর কাউকে জীবিত পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকায় বর্তমানে উদ্ধার কাজ প্রায় শেষ করা হয়েছে। এখন মূলত বাড়ি-ঘর হারানো ও খাদ্য সংকটে থাকা মানুষদের সহায়তা করা হচ্ছে।
ভূমিকম্পের পরের দিন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছিলেন, উদ্ধারকাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে তাদের। তবে তিনি মঙ্গলবার দাবি করেছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এক টেলিভিশন ভাষণে এরদোয়ান বলেছেন, ‘আমরা শুধুমাত্র আমাদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মোকাবেলা করছি না, পুরো মানব সভ্যতার ইতিহাসে এটি অন্যতম বড় বিপর্যয়।’
এদিকে মঙ্গলবার যাদের জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে ১৭ ও ২১ বছর বয়সী আপন দুই ভাই। তাদের কাহরামানমারাস প্রদেশের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক থেকে উদ্ধার করা হয়। অপরদিকে প্রায় ২০০ ঘন্টা পর আন্তাকিয়া প্রদেশ থেকে এক সিরিয়ান যুবক ও নারীকে উদ্ধার করা হয়। এক উদ্ধারকারী জানিয়েছে, তারা হয়ত জীবিত আরও কাউকে উদ্ধার করতে পারেন।
তবে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বর্তমানে উদ্ধার অভিযান শেষ পর্যায়ে আছে। এখন যারা ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের বাসস্থান, খাবার নিশ্চিতের দিকে নজর দেওয়া হবে।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপ বিষয়ক পরিচালক হ্যান্স হেনরি পি, ক্লাগ জানিয়েছেন, তুরস্ক ও সিরিয়া মিলিয়ে বর্তমানে ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষের জরুরিভিত্তিতে মানবিক সহায়তা প্রয়োজন।
সূত্র: রয়টার্স ও ঢাকা পোস্ট