ঋতুর পরিবর্তনে শীত শেষে বসন্ত এসেছে। সাধারণত বসন্ত থেকে শুরু হয় গরমের অনুভূতি। তবে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে দিনের কিছুটা গরম অনুভূত হলেও রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটি শীতের অনুভূতিতে রূপ নিচ্ছে। ফলে এখনও মধ্যরাত থেকেই গায়ে দিতে হচ্ছে লেপ-কম্বল।
আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত পরিস্থিতিতে এমনটা খুব অস্বাভাবিক নয়।
বুধবার (১ মার্চ) সময় সংবাদের সঙ্গে আলাপকালে আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, বঙ্গোপসাগরে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ বিরাজ করছে। এমন অবস্থায় দেশের আকাশ প্রায়ই মেঘমুক্ত থাকছে। এতে দিনের বেলায় সূর্যকিরণ ভালোভাবে ভূপৃষ্ঠে পৌঁছাচ্ছে।
অন্যদিকে রাতের বেলায় মেঘমুক্ত আকাশ বিরাজ করা এবং তাপ বিকিরণের ফলে পরিবেশ ঠান্ডা হয়ে উঠছে বলে জানান তিনি।
হাফিজুর রহমান বলেন, আকাশ মেঘমুক্ত থাকায় বিকিরিত তাপ ওপরে চলে যাচ্ছে। এতে পরিবেশ দ্রুত ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে ও শীতের অনুভূতি হচ্ছে। এ ছাড়া উত্তরের হাওয়া ধীরে ধীরে দিক পরিবর্তন করলেও সেটির প্রবাহ এখনও পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়নি। সূর্যকিরণের অনুপস্থিতিতে উত্তরের হাওয়াও শীতের অনুভূতির অন্যতম কারণ।
তবে চলতি মাসের মাঝামাঝি এই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটবে বলে মনে করেন এ আবহাওয়াবিদ।
তিনি আরও বলেন, মৌসুম পরিবর্তিত হতে শুরু করেছে। চলতি মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতি থাকবে। তবে ১৫ তারিখের পর থেকে পুরোপুরি গরমের অনুভূতি শুরু হবে। সে সময় দিন ও রাতের তাপমাত্রার মধ্যে হয়তো কিছুটা পার্থক্য থাকবে, তবে শীতের অনুভূতি পুরোপুরি বিদায় নেবে।
এদিকে বুধবার সকাল ৯টায় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং কুমারখালীতে সর্বোচ্চ ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন সারা দেশে কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি। তবে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা আরও বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।