নিজস্ব প্রতিবেদক:
সবুজ কার না ভালো লাগে। গাছ-গাছালি ভরা খোলামেলা মনোরম পরিবেশ, সঙ্গে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। একটু বুক ভরে নিঃশ্বাস নেয়ার মতো খোলা আকাশ। যেখানে হারিয়ে যাবে মন।
সবুজ নগরায়নের অনন্য দৃষ্টান্ত রাজশাহীর এমন পরিবেশে অত্যাধুনিক ভবন নির্মাণের কারিগর গ্রীনপ্লাজা রিয়েল এস্টেট কোম্পানী লিমিটেড। যার প্রতিটি ভবন নান্দনিক ও আধুনিক মানের। ফায়ার ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্মাণ করা হয় প্রতিটি ভবন। যার কারণে ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
গ্রীনপ্লাজা রিয়েল এস্টেট কোম্পানী লিমিটেড’র পরিচালক ও রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রেডার আয়োজনে এটা ৫স আবাসন মেলা। যেহুতু আমাদের রাজশাহী মহানগরী আলোক ঝলমলে নান্দনিক শহরে বসবাস করার জন্য বিভিন্ন আবাসিক ও বানিজ্যিক ব্লিডিংগুলো গড়ে উঠেছে। যারা বাইরে থেকে আসছে তারা বসবাস করার একটা সুন্দর পরিবেশ পাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ডেভেলপার সেক্টরটা অনেক একটা চ্যালেঞ্জজিং। প্রতিদিনই এ সেক্টরটার মেটেরিয়ালের দাম বেড়েই চলেছে। এটা ডেভেলপারের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জজিং একটা বিষয়। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি কাস্টমারদেরকে তাদের সাধ্যের মধ্যে নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়তির বাজারে ফ্ল্যাট যেন কিনতে পারে সে জায়গাটা খেয়াল রাখছি। একটু লাভের আশায় আমরা কখনোই ভবন নির্মাণে ত্রুটি করি না। আমাদের নির্মাণ করা ভবন রাজশাহীর অন্যান্য ভবনের চেয়ে অনেক উন্নত করে গড়ে তোলা হচ্ছে। আমরা চাই মানুষ নামে বা কম দামে নয়, গুণে আমাদের কাছে আসুক, চিনুক, জানুক।
তিনি ফ্ল্যাট ক্রেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রতারণা এড়াতে রেডার সদস্যদের কাছ থেকে ফ্ল্যাট কেনার বিকল্প নেই। কারণ একমাত্র রেডার সদস্যদের কাছ থেকে ফ্ল্যাট কিনতে ক্রেতা শতভাগ নিশ্চয়তা পাবে, তেমনি কেউ প্রতারণার শিকার হবে না।
এদিকে, গ্রীনপ্লাজা রিয়েল এস্টেট কোম্পানী লিমিটেড’র এজিএম খালিদ হাসান, এবারের আবাসন মেলায় ক্লায়েন্ট অনেক বেশী সাড়া দিচ্ছে। এখন মানুষ ল্যান্ড এর চাইতে ফ্লাটের দিকে আগ্রহ বেশী দেখাচ্ছে। যেহুতু আমাদের প্রতিষ্ঠান একটি বিশ্বাসের জায়গা করে নিয়েছে সেক্ষেত্রে ক্লায়েন্টদের সাড়া ভালো আসছে।
আর আমাদের গ্রীন প্লাজা রিয়েল এস্টেট কোম্পানির যিনি ব্যাবস্থাপনা পরিচালক তিনি রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির একজন পরিচালক। তার তত্বাবধানে অল্প সময়েই আমাদের কোম্পানির ৭টি প্রজেক্ট চলছে। এর মধ্যে অনেক রেডি ফ্লাট আছে যা আমরা ক্লায়েন্টদের দেখাতে পারছি। আমাদের কমেটমেন্ট কোলিটির সাথে কোন কমপ্রোমাইজ নয়। সে বিষয়গুলো খেয়াল রেখে আমরা ভবন নির্মাণে কি ধরনের মেটেরিয়ালস ব্যবহার করছি। ক্লায়েন্টদের চাহিদা কি। তা সরোজমিনে গিয়ে ক্লায়েন্ট তা নিজেই দেখাতে পারছে ও জানতে পারছে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেল ৪টায় নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় ৫ম আবাসন মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। এবারের মেলায় ২৭টি কোম্পানির ৬০টি স্টল রয়েছে। মেলায় আবাসন ব্যবসায়ীর পাশাপাশি বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যাংক, টাইলস, লিফট বিক্রির প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কয়েকটি স্টল বরাদ্দ ছাড়াও উদ্যোক্তা গ্রুপের জন্য ১৬টি পিঠার স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতিদিন সকাল দশটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত এ মেলা সকল দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলা চলবে আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত।