ঢাকাসোমবার , ১৩ মার্চ ২০২৩

সই জাল করে বিয়ের কাবিননামা বানানো হয়েছিল: অঞ্জু ঘোষ

মার্চ ১৩, ২০২৩ ১:৫০ অপরাহ্ণ । ১১৮ জন

গ্রীণসিটি ডেস্ক।

দুই বাংলার এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা অঞ্জু ঘোষ। বর্তমানে চলচ্চিত্র থেকে অনেক দূরে এই অভিনেত্রী।

দুই দিনের জন্য কলকাতায় গিয়ে সেখানেই রয়ে গেলেন তিনি। দুই যুগের বেশি সময় ধরে সেখানেই আছেন এই অভিনেত্রী।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির উদ্যোগে দীর্ঘ ২২ বছর পর ২০১৮ সালে এফডিসিতে এসেছিলেন অঞ্জু ঘোষ। এরপর আবারো চলে যান তিনি। একটানা ষোলোটি বছর বাংলাদেশের সিনেমায় শীর্ষস্থান ধরে রাখা এই অভিনেত্রী বর্তমানে অনেকটা নিভৃতচারিণী জীবন পার করছেন।

এক সময়ের ব্যস্ততা, এখন অফুরন্ত অবসরে সময় কীভাবে কাটে? এমন প্রশ্নের উত্তরে একটি সংবাদমাধ্যমকে অঞ্জু ঘোষ দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন, আমার বাড়িতে মন্দির রয়েছে, ধর্মকর্ম পূজা-পার্বণ করেই সময় কেটে যায়। আমার বাসায় যেমন দূর্গার প্রতিমা রয়েছে তেমনি পবিত্র মক্কা শরীফ, খাজা বাবার ছবিও রয়েছে। মানব ধর্মের চেয়ে বড় কোনো ধর্ম নেই।

অন্য আট-দশ জন নায়িকার মতো অঞ্জুর জীবনেও প্রেম এসেছিল। তবে সে প্রেমের পরিণয় ঘটেনি। এ প্রসঙ্গে নায়িকার ভাষ্য, এমনও সময় গেছে আমার জন্য ঢাকায় আমার বাড়ির দরজায় সারা রাত অপেক্ষা করেছে আমাকে দেখবে বলে। প্রেমিকদের দীর্ঘ নামের সারি। তাদের নাম আজ আর নাই বা বললাম। সবাই এখন সংসার করছেন। চাই না তারা কেউ বিব্রত হোক।

চলচ্চিত্র পরিচালক এফ কবির চৌধুরী এবং আপনার প্রণয় ও বিয়ে যেটা ঐ সময় গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হয়েছিল। ওই বিষয়ে কি বলবেন? এ বিষয়ে অঞ্জু বলেন, আমাদের কোনো দিনই বিয়ে হয়নি। আমার প্রডাকশন থেকে প্রথম একটি সিনেমা নির্মাণ করি। প্রচুর অর্থ লগ্নি করি। কিন্তু সিনেমাটি যখন রিলিজ দিবো তখন এফ কবির আবদার করে বসলেন যে, এই সিনেমাটি তার ড্রিমল্যান্ড প্রডাকশন থেকে রিলিজ করতে হবে- আমি বেঁকে বসলাম। দু’জনার মধ্যে লেগে গেল দ্বন্দ্ব। অদ্ভুত বিষয় হলো চুক্তিপত্রে আমি যে স্বাক্ষর করেছিলাম তা জাল করে বিয়ের কাবিননামা বানানো হয়েছিল। এটা সত্যি যে, এফ কবির আমার শুভাকাঙ্ক্ষী ছিলেন।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে অঞ্জু ঘোষ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভোলানাথ অপেরার হয়ে যাত্রায় নৃত্য পরিবেশন করতেন ও গান গাইতেন। ১৯৮২ সালে এফ কবীর চৌধুরী পরিচালিত ‘সওদাগর’ সিনেমার মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। সিনেমাটি ব্যবসায়িকভাবে সফল ছিল। রাতারাতি তারকা বনে যান তিনি। অঞ্জু বাণিজ্যিক সিনেমার তারকা হিসেবে যতোটা সফল ছিলেন, সামাজিক সিনেমাতে ততটাই ব্যর্থ হন।

১৯৮৭ সালে অঞ্জু সর্বাধিক ১৪টি সিনেমায় অভিনয় করেন, মন্দা বাজারে যেগুলো ছিল সফল সিনেমা। ১৯৮৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ অবিশ্বাস্য রকমের ব্যবসা করে। সৃষ্টি করে নতুন রেকর্ড।

তার অভিনীত অনান্য উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘সওদাগর’, ‘নরম গরম’, ‘আবে হায়াত’, ‘রাজ সিংহাসন’, ‘পদ্মাবতী’, ‘রাই বিনোদিনী’, ‘সোনাই বন্ধু’, ‘বড় ভালো লোক ছিল’, ‘আয়না বিবির পালা’, ‘আশা নিরাশা’, ‘নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা’, ‘মালাবদল’, ‘আশীর্বাদ’ প্রভৃতি। বাংলা নিউজ