মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় বাস দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০ জনে দাঁড়িয়েছে। রোববার (১৯ মার্চ) সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শিবচর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু নাঈম মো. মোফাজ্জেল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতদের মধ্যে ১১ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- গোপালগঞ্জের ত্রিনদীর রঞ্জন মন্ডল (৫০), মুকসুদপুরের মো. আমজাদ আলীর ছেলে মাসুদ মিয়া (৩৫), খুলনার সোনাডাঙ্গার শেখ আহমদ মিয়ার ছেলে শেখ আব্দুল আল মামুন (৪২), গোপালগঞ্জ সদরের মো. হেদায়েত মিয়া (৪৭), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী গোপালগঞ্জ সদরের মাসুদ মিয়ার মেয়ে সুইটি আক্তার (২২), নড়াইলের লোহাগাড়ার বকু শিকদারের ছেলে ফরহাদ হোসেন (৬৭), গোপালগঞ্জ সদরের মাসুম মিয়ার ছেলে মোস্তাক শেখ (৪১), গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার মো. কাঞ্চন শেখের ছেলে শেখ কবির হোসেন (৫৭), ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও গোপালগঞ্জ সদরের আবু হেনা মোস্তফার মেয়ে আফসানা মিমি (২৫), গোপালগঞ্জের নওশাদ শেখের ছেলে সজীব (২৭), ফরিদপুর আলফাডাঙ্গা এলাকার শহিদ মুরাদ আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেন (২৮)। বাকিদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, রোববার সকালে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহনের একটি বাস পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। এ ঘটনায় বাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ১৪ জন যাত্রী নিহত হন।
শিবচর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু নাঈম মো. মোফাজ্জেল হক বলেন, দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকেই ১৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারজন মারা যান। এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুইজন মারা যান।
ঢাকা পোস্ট