সর্বশেষ গত ১৫ দিনের ব্যবধানে মহাসড়কের কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ৩৯ কিলোমিটার অংশে ৮টি ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জনের প্রাণহানি ছাড়াও আহত হয়েছেন অনেকে। হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ চকরিয়ার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. দিদারুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, খোলা ট্রাকে করে পরিবহনের সময় লবণ পানি নিঃসৃত হয়ে সরাসরি মহাসড়কে পড়ায় বিটুমিনের কার্পেটিংয়ের প্রলেপও উঠে যাচ্ছে। বিটুমিনাসের নিচের স্তর মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সড়কের আয়ুষ্কাল কমে যাচ্ছে। এ নিয়ে সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট স্থানীয় প্রশাসনকে পত্র দেওয়া হলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। যদিও বা দুর্ঘটনা হ্রাসকল্পে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়ক এন-১ এর প্রতি কিলোমিটারে প্রয়োজনীয় সাইন সিগন্যাল, রোড মার্কিং, রিফ্লেক্টিভ রোড স্টাডস্ ও সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকসমূহে শেভরন সাইন, রাম্বল স্ট্রিপস ও অ্যাডভান্স ডিরেকশনাল সাইন স্থাপন করা হয়েছে।
নিরাপদ সড়ক চাই কক্সবাজার জেলার সভাপতি জসীম উদ্দিন কিশোর বলেন, মালুমঘাট ট্র্যাজেডির পর সড়ক বিভাগের নেওয়া উদ্যোগের ফলে দুর্ঘটনা কমেই এসেছিল। গত এক বছরের পরিসংখ্যান তাই বলছে। কিন্তু সামপ্রতিক সময়ে চকরিয়া অংশে একের পর এক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হচ্ছে উপকূলীয় এলাকায় উৎপাদিত লবণ যেনতেন ভাবে পরিবহন করার কারণে।
সড়ক বিভাগ, হাইওয়ে পুলিশ ও নিরাপদ সড়ক চাই তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ভোরে চকরিয়ার মালুমঘাটে সবজি বোঝাই মিনি পিকআপ চাপায় একই পরিবারের ৬ ভাই নিহতের ঘটনায় সবার বিবেককে নাড়া দেয়। দেশজুড়ে আলোড়ন তুলে সেই ভয়াবহ ঘটনাটি। এ নিয়ে কালের কণ্ঠসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর সড়ক ও জনপথ বিভাগ মহাসড়কটির চকরিয়া অংশের ৩৯ কিলোমিটারের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক সরলিকরণ, দিক-নির্দেশনা সম্বলিত সাইনবোর্ড স্থাপনসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে। এতে করে মহাসড়কটির চকরিয়া অংশে দুর্ঘটনা অনেক কমে আসে। কিন্তু লবণ পানির কারণে সম্প্রতি এই মহাসড়কে দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে।- কালের কণ্ঠ