রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেছেন, আমরা দেশরত্ন শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে গড়ে তুলব স্মার্ট বাংলাদেশ। এজন্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতিটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থেকে নিজ নিজ মেধা ও শ্রম দেয়ার আহবান জানান তিনি।
রোববার বিকেলে “স্মার্ট বাংলাদেশ: বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা” বিষয়ক এক আলোচনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমীতে সেন্টার ফর পিপলস্ এন্ড পলিসি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, অগনিত মানুষের রক্তের বিনিময়ে এদেশ স্বাধীন হওয়ার পর শূণ্যহাতে দেশ গঠনের কাজ শুরু করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। চরম সংকটে থাকা সদ্য স্বাধীন প্রিয় বাংলাদেশকে নিয়ে ভেবেছিলেন হৃদয় দিয়ে। তাঁর দুরদর্শী চিন্তা আর সুদক্ষ পরিকল্পনায় এগিয়ে যাচ্ছিলো বাংলাদেশ। বছরের পর বছর অধিকার বঞ্চিত মানুষ নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছিলো। মানুষ খুঁজে পাচ্ছিলো সুখের ঠিকানা। সমৃদ্ধ এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছিলেন জাতির পিতা। ঠিক তখনই ঘাতকের দল, স্বাধীনতা বিরোধী চক্র স্বপরিবারের হত্যা করে বঙ্গবন্ধুকে। জাতির পিতার শাহাদাত বরণের পর বাংলাদেশ বিরোধী ঐ চক্র মনে করেছিলো আর এগোবে না এই দেশ। ঘটেছিলোও তাই। নব জাগরণে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ থমকে দাঁড়িয়েছিলো সেদিন। থেমে গেছিলো এদশের এগিয়ে চলার গতি।
বছরের পর বছর এদেশের অগ্রগতি থমকে থাকার পর দেশ পরিচালনার দ্বায়িত্ব পান জাতির পিতার সুযোগ্য কণ্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা। তিনি তাঁর যোগ্যতা, দক্ষতা আর সুদুরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে নতুন এক বাংলাদেশ গড়তে মনোনিবেশ করলেন। এদেশের মানুষের ভাগ্যন্নোয়নে তাঁর যে ভাবনা আর নিরলস পরিশ্রম তার সুফল আজ পাচ্ছেন দেশবাসী। আজকের যে দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলা বাংলাদেশ দেশরত্ন শেখ হাসিনার দক্ষতা আর দেশপ্রেমেরই ফসল। জননেত্রী শেখ হাসিনা ধমকে দাঁড়ানো এক বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। রাজনৈতিক কারণে মুখে প্রকাশ করতে না পারলেও বিরোধী রাজনৈতিক পক্ষও আজ দেশের উন্নয়নের কথা স্বীকার করেন। আজকের ডিজিটাল বিশে^ বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মডেল। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিশে^র অনেক দেশের কাছেই এখন অনুকরণীয়। জননেন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারে ঘোষণা দিয়েছেন স্মার্ট বাংলাদেশের। এই ঘোষণার বাস্তবায়নের জন্য যা যা দরকার সবই তিনি এরই মধ্যে শুরু করেছেন। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতিটি মানুষই দেশরত্ন শেখ হাসিনার এই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার এককজন সৈনিক।
সেন্টার ফর পিপলস্ এন্ড পলিসির সভাপতি হাসিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির রাজশাহী জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী বরজাহান, ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি ডা. এফ এম এ জাহিদ, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সুলতান মাহমুদ রানা, রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুজ্জামান শফিক।