ঢাকাসোমবার , ১০ এপ্রিল ২০২৩
  • অন্যান্য

ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে এখনই শুরু করতে হবে এডিস নিয়ন্ত্রণ

এপ্রিল ১০, ২০২৩ ১:১৩ অপরাহ্ণ । ৮৬ জন

বর্তমানে সারা বছর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব থাকলেও বর্ষা মৌসুমে বাড়তে থাকে রোগীর সংখ্যা। তাই ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব এবং ভয়াবহতা রুখতে বর্ষাকালের শুরুতেই এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অ্যান্ড কন্ট্রোলরুমের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ৬২ হাজার ৩৮২ জন এবং তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৮১ জনের।

চলতি বছরের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ৮৭৯ জন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হয়েছেন, তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে নয় জনের।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আধুনিক জীবনযাপনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিভিন্ন ধরনের খাবারের প্যাকেট, পানির জার এবং বিভিন্ন ধরনের পাত্র। আর এই পাত্রই ডেকে আনছে ডেঙ্গু। নগরীর বিভিন্ন স্থানে আনাচে-কানাচে পড়ে থাকা বিভিন্ন ধরনের পাত্র এডিস মশা প্রজননের জন্য উপযুক্ত স্থান। বৃষ্টি বাড়লে এডিস মশা বাড়বে, তাই এখনই এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। সমন্বিত মশক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে জানতে চাইলে কীটতত্ত্ববিদ, গবেষক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বাংলানিউজকে বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আগাম ব্যবস্থা নেওয়া দরকার এই মুহূর্ত থেকেই। কারণ এখন বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন স্থানে পড়ে থাকা পাত্রে বৃষ্টির পানি জমা হলে এডিস মশা হতে পারে। এই পাত্রগুলোকে অপসারণ করতে হবে। যদি কোনো পাত্র অপসারণ না করা যায়, যেমন কোনো বড় পাত্র বা ট্যাঙ্কি সেগুলো কাভার দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। আবার যদি কাভার দিয়েও না ঢাকা যায়, তাহলে সেখানে কীটনাশক, কেরোসিন, ব্লিচিং পাউডার বা লবণ প্রয়োগ করতে হবে। এই মুহূর্ত থেকেই আমাদের মশার প্রজনন ঠেকাতে হবে। মশার প্রজনন যদি আমার মৌসুমের শুরুতেই ঠেকাতে পারি, তাহলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি জনগণকেও সম্পৃক্ত হতে হবে। বাসা বাড়ি বা আশপাশে যেন পানি জমা না থাকে, পানি জমার মতো কোনো পরিস্থিতি যেন তৈরি না হয়, কোথাও যেন পরিত্যক্ত টায়ার বা কোনো ধরনের পাত্র পড়ে না থাকে, এই বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।- বাংলানিউজ