ঢাকাসোমবার , ১ মে ২০২৩
  • অন্যান্য

নিষেধাজ্ঞা শেষে মেঘনায় মাছ শিকারে জেলেরা

মে ১, ২০২৩ ১১:০১ পূর্বাহ্ণ । ৯৮ জন

মার্চ-এপ্রিল দীর্ঘ দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে মাছ শিকারে নেমেছেন জেলেরা।  রোববার (৩০ এপ্রিল) দিনগত রাত ১২টায় জেলেরা নদীতে মাছ শিকারে নেমে পড়েন। সারারাত মাছ শিকার করে সোমবার ভোরে ঘাটে এনে বিক্রি করছেন সেই মাছ। জেলারা দুই মাস মাছ শিকার করতে না পেরে অর্থ সংকটে ছিলেন। সে সংকট কাটিয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখছেন তারা।

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের মতিরহাট এলাকার জেলে নুর নবী ও চৌধুরী মাঝি বলেন, দুই মাস অনেক কষ্টে দিন কাটাতে হয়েছে। মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে অর্থকষ্টে রোজ এবং ঈদ করতে হয়েছে। এখন মাছ ধরা শুরু হলো। আশা করি, নদীতে পর্যাপ্ত মাছ পাওয়া যাবে। তাহলে সংকট ঘুচে যাবে।

তারা বলেন, প্রথম দিন কিছু মাছ পাওয়া গেছে। সেগুলো মতিরহাট মাছ ঘাটে নিয়ে বিক্রি করেছি।

মতিরহাট মাছঘাটের আড়ৎদার মিছির মোল্লা ও মোকাম্মেল মোল্লা বলেন, জেলেরা রাতভর নদীতে মাছ ধরে ভোরে ঘাটে নিয়ে এসেছেন। সকাল পর্যন্ত জমজমাট ছিল মাছঘাট। প্রথম দিন, তাই ইলিশের দাম কিছুটা বেশি।

মাছঘাটের সভাপতি লিটন মেম্বার বলেন, ঘাটে মাছ বেচা-কেনা শুরু হয়েছে। নদীতেও জেলেরা রাতভর মাছ শিকারে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। প্রথম রাতে সব জেলে নদীতে মাছ শিকারে নামেননি। অনেকে প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তারাও মাছ শিকারে নেমে পড়বেন।

জানা গেছে, জাটকা ইলিশ রক্ষায় মার্চ এবং এপ্রিল দুই মাস নদীতে সব ধরনের মাছ শিকার নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেও অসাধু জেলেরা মাছ শিকারে নেমে পড়তেন। এজন্য অনেক জেলেকে অর্থদণ্ড দিয়েছে প্রশাসন।

জেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত মেঘনা নদীর ১০০ কিলোমিটার এলাকাকে ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করেছে মৎস্য অধিদফতর। জাটকা ইলিশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে অভয়াশ্রমে জেলেদের জাল ফেলা থেকে বিরত রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয় জেলা মৎস্য অধিদপ্তর। নিষিদ্ধ সময়ে তালিকাভুক্ত জেলেদের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, জেলার সদর, রায়পুর, কমলনগর ও রামগতি উপজেলার প্রায় ৪৯ হাজার জেলে মেঘনায় মাছ শিকারে নিয়োজিত। তাদের মধ্যে তালিকাভুক্ত জেলের সংখ্যা প্রায় ৩৮ হাজার। ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ৩০ হাজার ৮৫৩ জন জেলেকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

যদিও জেলেদের অভিযোগ, প্রকৃত জেলেরা খাদ্য সহায়তা থেকে বঞ্চিত ছিল।

সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. সারোয়ার জামান বাংলানিউজকে বলেন, দুই মাস নদীতে অভিযান চালানো হয়েছে। জেলেরা জাটকা ইলিশ শিকার থেকে বিরত ছিলেন। আশা করি, এতে মাছের উৎপাদন বেড়েছে।- বাংলানিউজ

Paris