সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহীর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনে আবারো মনোনয়ন দিয়েছেন। আমার জন্মের শহর রাজশাহী। আমার পূর্বপুরুষ এ অঞ্চলে রাজনীতি করেছে। এ নগরীর উন্নয়নে কাজ করতে পেরেছি। নগরীকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলেছি। রাজশাহী দুই বার পরিবেশ পদক, এগারো বার স্বাস্থ্যসেবায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে। রাজশাহী এখন এশিয়ার মধ্যে অন্যতম পরিচ্ছন্ন নগরী। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এটি সম্ভব হয়েছে।
রাসিক মেয়র বলেন, উন্নয়ন দৃশ্যমান এবার হবে কর্মসংস্থান এটাই মুল বিষয়। রাজশাহীকে এগিয়ে নিতে ব্যবসা বাণিজ্য, সকল ক্ষেত্রে কাজ করতে হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে রাজশাহী থেকে কলকাতা রেল যোগাযোগ, বাস যোগাযোগ, নৌপথ, নৌবন্দর স্থাপন কাজ এগিয়ে চলেছে। ব্যবসা বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে। বিসিক-২ উন্নয়ন কাজ এগিয়ে চলেছে, চামড়া শিল্প অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। চিকিৎসা ব্যবস্থা এগিয়ে নিতে নগরীর উত্তরে রাজশাহী মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয় কাজ এগিয়ে চলেছে। সেখানে এক হাজার শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে। রাজশাহীকে পূর্ণাঙ্গ শিক্ষানগরী রূপে গড়ে তুলতে রাজশাহীতে কৃষি বিশ^বদ্যালয় স্থাপন করতে হবে। আগামীতে রাজশাহী এ্যাডভোকেট বার এসোসিয়েশনের ভবনটি বহুতল বিশিষ্ট ভবন নির্মাণে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ^াস প্রদান করেন মেয়র।
রাজশাহী এ্যাডভোকেট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি এ্যাভভোকেট ইব্রাহীম হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক সদস্য মোঃ ইয়াহিয়া, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য একরামুল হক, রাজশাহী এ্যাডভোকেট বার এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি লোকমান আলী, সাধারণ সম্পাদক জমসেদ আলী। সঞ্চালনা করেন এ্যাড মাজেদুল আলম শিবলী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন এ্যাড জালাল উদ্দিন, এ্যাড রাশেদুন নবী আহসান, এ্যাড. বজলে তৌহিদ আল হাসান বাবলা, এ্যাডভোকেট নাসরিন আক্তার মিতা।