এক যুগেরও অধিক সময় পর রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান বিভাগীয় স্টেডিয়াম মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
তবে দর্শকদের জন্য আছে দুঃসংবাদ। জোরদার নিরাপত্তা বলয়ের কারণে গ্যালারিতে প্রবেশাধিকার থাকবে না কোনো দর্শকের। ফলে আন্তর্জাতিক ম্যাচ মাঠে বসে দেখার প্রতীক্ষা আরও দীর্ঘায়িত হচ্ছে রাজশাহীবাসীর।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ আন্তঃদেশীয় ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে রাজশাহীতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু হচ্ছে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী পাকিস্তান। আর শক্তিশালী পাকিস্তানের সঙ্গে খেলেই জিততে চায় বাংলাদেশ।
বুধবার দুপুরে রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান বিভাগীয় স্টেডিয়ামের সভাকক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের অধিনায়ক ও কোচেরা এসব তথ্য জানান।
পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাদ বেগসহ দলের কোচ ও টিম ম্যানেজার এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সাদ বেগ বলেন, বাংলাদেশের ক্রিকেট দল এখন অনেক শক্তিশালী। তারা ভালো খেলছে। তবে আমরা জয়ের ব্যাপারী আশাবাদী।
বাংলাদেশ যুব ক্রিকেট দলের অধিনায়ক রাকিবুল হাসান বলেন, পাকিস্তান দলে বেশিরভাগ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এজন্য আমাদের দলে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। যেসব দুর্বলতা ছিল তা সংশোধনের চেষ্টা করা হয়েছে। তারপরও পাকিস্তান যেহেতু খুবই শক্তিশালী একটা দল, সেহেতু আমাদের খেলেই জিততে হবে।
এদিকে নিরাপত্তা শঙ্কায় গ্যালারিতে বসে খেলা দেখার সুযোগ পাচ্ছেন না দর্শকরা। ফলে আন্তর্জাতিক ম্যাচ দেখার দীর্ঘ প্রতীক্ষাটি আরও দীর্ঘায়িত হচ্ছে রাজশাহীবাসীর। যদিও ভেন্যুকে ঘিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা চোখে পড়ার মতো। মাঠজুড়ে রয়েছে সিসি ক্যামেরাও।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানায়, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের যুবারা এই মাঠে ওয়ানডে সিরিজের তিনটি ম্যাচ ও একটি টি-টোয়েন্টি খেলায় অংশ নিবে।
আগামী বৃহস্পতিবার, শনিবার ও সোমবার তিনটি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ১৭ তারিখ সিরিজের একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।
বিসিবির রাজশাহী ভেন্যু ম্যানেজার আরেফিন ইসলাম বলেন, ‘আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের যুব ওয়ানডে সিরিজ। এছাড়া একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচও হবে এই ভেন্যুতে।’
কী কারণে দর্শক থাকছে না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। শুধু ম্যানেজমেন্ট আমাকে বলেছে দর্শক থাকবে না, এটুকুই জানি।’