ঢাকাবুধবার , ১০ মে ২০২৩

নাইকো মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন

মে ১০, ২০২৩ ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ । ৮৩ জন

নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। তারেক রহমানের বন্ধু আসামি গিয়াস উদ্দিন আল মামুন এ আবেদন করেছেন বলে বুধবার (১০ মে) জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

এই আবেদনে রুল জারি করে মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে।

এছাড়া ব্যবসায়ী সেলিম ভূঁইয়াও আবেদন করেছেন। তার আবেদনটি বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকার রয়েছে।

গত ১৯ মার্চ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান।

এরপর এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৩ মে দিন ধার্য করেন।

সেদিন খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার জানান, তিনি খালেদা জিয়ার পক্ষে হাজিরা দিয়েছেন।

এ সময় বিচারক আসামিদের কাছে জানতে চান, তারা দোষী না নির্দোষ? অন্য আসামিরা নিজে এবং খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান৷ এরপর আদালত তাদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।

বিচার শুরু হওয়া অন্য আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ব্যবসায়ী সেলিম ভূঁইয়া এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ৷

অপরদিকে আসামিদের মধ্যে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

দুদকের করা অপর দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। সেখান থেকে পরে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায়ই সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান। বর্তমানে তিনি নিজ বাসায়ই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

-বাংলানিউজ