নিজস্ব প্রতিবেদক:
চারপাশ বাধানো ও প্রশস্ত রাস্তার কারণে দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠেছে বিসিক-এর সপুরা মঠপুকুর। পুকুরটির ধারে বিভিন্ন পাতাবাহারেরা গাছে সুসজ্জিত রয়েছে। দূরে বা কাছে সবজায়গা থেকেই দেখতে চমৎকার। মঠপুকুর ঘিরে মানুষের বিনোদনের জায়গা সৃষ্টি হয়েছে। একই সাথে অনেকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। বিকেলে বসে রাত পর্যন্ত চলে অস্থায়ী এই দোকানগুলোতে চলে বিভিন্ন খাবার কেনা-বেচা। ঘুরতে এসে আড্ডা বিনোদনের সাথে বিভিন্ন ফাস্ট ফুড খাচ্ছেন অনেকেই।
মঠপুকুর পাড়ে বেড়াতে আসা শরিফা খাতুন জানান, খোলামেলা জায়গা এটি। অনেক ভালো লাগে নিরিবিলি বলে। এখানে কয়েক দিন পরপরেই আসি আমরা। এই জায়গা আগে তেমন ভালো ছিল না। কয়েক বছর থেকে পুকুরটা দেখার মতো হয়েছে। এখানে অনেক ভালো সময় কাটে। সকাল-বিকেল অনেক মানুষকে এখানে গোসল করতে দেখা যায়।
আবদুর রাজ্জাক নামের এক ব্যক্তি জানান, ‘ডায়াবেটিকের কারণে আমাকে সকাল-বিকেল হাঁটতে হয়। বেশির ভাগ সময় এই মঠপুকুর পাড় ধরে হাঁটি। এখানকার পরিবেশ অনেক ভালো। ফাঁকা ফাঁকা ও নিরিবিলি। পুকুরপাড়ে বসার সুন্দর জায়গা রয়েছে। আগেতো ভূতুরে অবস্থায় ছিল। এই কয়েক বছর আগে পুকুরটিতে সুন্দর করা হয়েছে।
সিল্কের কাপড় কিনতে আসা আসলাম হোসেন বলেন, সবসময় পরিবারের সাথে ঘুরতে যাওয়া হয় না। সিল্কে কেনাকাটা শেষে পুকুরপাড়ে বসলাম। বাচ্চারা মুক্তভাবে পুকুরপাড়ে খেলতে পারছে। আমাদের ভালো লাগছে। সবমিলে অবসরটা ভালোই কাটছে আমাদের।
মঠপুকুরটিকে ঘিরে একটি ফাস্ট ফুড, চা-পান, পপকন, ভাজার ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়েছেন পাঁচ থেকে ছয় জন। চা-পান বিক্রেতা নয়ন বলেন, বিক্রি ভালোই হয়। এখনে নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না কত লোক আসে। তবে ভালোই লোকজন হয় প্রতিদিন। এখানে স্থায়ীদের থেকে বহিরাগতরাই বেশি। বিসিকে বিভিন্ন কাজে আসা মানুষ অবসরে বসে এখানে সময় কাটান।
তাদের মধ্যে ফাস্ট ফুড বিক্রেতা হৃদয় বলেন, প্রতিদিন অনেক মানুষ আসে সময় কাটাতে। সবচেয়ে বেশি লোকজন হয় শুক্রবার ও ছুটির দিনে।