চট্টগ্রামে প্রথম দুই ম্যাচে হতাশার পর রাজশাহীতে ভাগ্য খুলেছে বাংলাদেশের যুবাদের। পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪ উইকেটের জয় পেয়েছে অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
কিন্তু শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান বিভাগীয় স্টেডিয়ামে প্রবেশ নিষিদ্ধ করায় ক্ষুব্ধ রাজশাহীর দর্শকরা। বাংলাদেশ দারুণ এক জয় পেলেও সেটা দেখার সুযোগ হয়নি তাদের।
ফয়সাল আহমেদ, আবদুর রশিদ ও জামিলুর রহমান নামের কয়েকজন দর্শক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, দীর্ঘ এক যুগ পর রাজশাহীর মাঠে আন্তর্জাতিক কোন ক্রিকেট ম্যাচ গড়াল। এই ম্যাচকে নিয়ে তারা এতদিন থেকে দারুণভাবে উচ্ছ্বসিত ছিলেন। কিন্তু এখানকার ম্যাচগুলো দর্শকবিহীন হবে তারা আগে তা অনুমান করতে পারেননি। আর এমন কোনো ঘোষণাও দেওয়া হয়নি। আজ সকালে এসেই তারা বিষয়টি জানতে পারেন। আর বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। তারা এতে হতাশ ও সংক্ষুব্ধ হয়েছেন। এ সময় তারা বিসিবির এমন হটকারী সিদ্ধান্ত দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানান।
এই ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ভেন্যু ম্যানেজার আরেফিন ইসলাম জানান, এখানে তার করার কিছুই নেই। এই ব্যাপারে তিনি কিছুই বলতে পারবেন না। বিসিবির উপর মহলের সিদ্ধান্তে রাজশাহীর ভেন্যুতে ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালীন দর্শক নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে টসে জিতে ফিল্ডিং করতে নামে বাংলাদেশের যুবারা। স্বাগতিক বোলারদের তোপের মুখে একদমই সুবিধা করতে পারেননি পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের ব্যাটাররা। ৪১.৪ ওভারেই পাকিস্তানের ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৫৪ রানে।
পাকিস্তান যুবদলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন সাদ বেদ। এছাড়াও আরাফাত মিনহাজ ২৮ এবং আলী আসফান করেন ২৭ রান।
বাংলাদেশের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন রোহানাথ দৌলা বর্ষণ ও ইকবাল হাসান ইমন। এছাড়া পারভেজ রহমান জীবন দুইটি ও জিসান আলম এবং ইয়াসি সিদ্দিক পান একটি করে উইকেট।
লক্ষ্য ১৫৫ রানের। ব্যাট হাতে দারুণ সূচনা করে বাংলাদেশের যুবারা। ৩৪ বলে ৩৬ রান করে সাজঘরে ফিরেন আদিল বিন সিদ্দিক। মাযহারুল ইসলাম করেন ২৫ বলে ২১ রান। জিসান আলমের ব্যাট থেকে আসে ২৪।
পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ গুঁড়িয়ে ২৬ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ম্যাচসেরা হন বাংলাদেশের রোহানাথ দৌলা বর্ষণ।
এর আগে চট্টগ্রামে প্রথম দুই ম্যাচে পাকিস্তান অনুধ্র্ব-১৯ দলের কাছে হেরেছিলো বাংলাদেশ অনূধ্র্ব-১৯ দল।