কক্সবাজার উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। এটি ১৭০ কিলোমিটার গতিতে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান বলেছেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানবে টেকনাফের দক্ষিণ দিকে অর্থাৎ সেন্টমার্টিন ও মিয়ানমার উপকূলে। প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে ভয়ঙ্কর তাণ্ডব চালাতে পারে মোখা।’ ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলা জেলা প্রশাসন আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় এ আশঙ্কা কথা জানিয়েছেন আবদুর রহমান।
দেশের সর্বদক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত ছোট প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। মাত্র আট বর্গকিলোমিটারের দ্বীপটি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ হতে প্রায় নয় কিলোমিটার দক্ষিণে এবং মিয়ানমার উপকূল থেকে আট কিলোমিটার পশ্চিমে নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিত। চারপাশ খোলা থাকায় পূর্ণিমার জোয়ারের পানিতে দ্বীপের কিছু অংশ তলিয়ে যায়, ভাটার সময় পানি নেমে যায়। সারাবছর প্রাকৃতিক দুর্যোগে আতঙ্কে থাকে এই দ্বীপের মানুষ।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেছেন, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ রোববার (১৪ মে) সকালে আঘাত হানতে পারে। এ সময় উপকূলীয় বেশকিছু অঞ্চলে জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুটের বেশি (প্রায় ৩.৭ মিটার) উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের গড় উচ্চতা ৩.৬ মিটার। যে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে, তা হলেই পুরো সেন্টমার্টিন দ্বীপ পানির নিচে তলিয়ে যাবে। তবে, এই জলোচ্ছ্বাস কতক্ষণ স্থায়ী হবে, তা এখনই নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।’
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেছেন, ‘এর আগেও বড় বড় ঘূর্ণিঝড় হয়েছে। কিন্তু, সেন্টমার্টিনের তেমন বড় ক্ষতি হয়নি। আল্লাহ সেন্টমার্টিনকে রক্ষা করেছেন। এবারও আশা করছি, কিছু হবে না। তবে, আমরা দ্বীপবাসী নিরাপদ আশ্রয়ে আছি।’
রাইজিংবিডি